ফুটবল

ফুটবলারের নাম ওসামা বিন লাদেন, ভাই সাদ্দাম বোন জর্জ বুশ!

তার পুরো নাম ওসামা বিন লাদেন জিমিনেজ লোপেজ। জন্ম ল্যাতিন অ্যামেরিকান দেশ পেরুতে। সম্প্রতি দেশটির জাতীয় যুব দলে ডাক পেয়ে সবার ভ্রু কুঁচকে দিয়েছেন এই ফুটবলার।

সাবেক আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন, ইরাকের সাবেক সামরিক শাসক সাদ্দাম হোসেন এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বেশ আলোচিত-সমালোচিত তিন নাম। আর এই নামগুলো মিশে আছে পেরুর এই ফুটবলারের পরিবারে!

চলতি সপ্তাহে পেরুর ২য় বিভাগের ক্লাব ইউনিয়ন কোমেরসিওতে যোগ দিয়ে সাড়া ফেলে দেন ১৮ বছর বয়সী ওসামা। তার নামটাই মূলত আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়।

কেবল তিনিই নন, তার ভাইয়ের নাম সাদ্দাম হোসেন। আর বোনের নাম জর্জ বুশ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ভিন্ন জগতের তিন নামকে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে জড়ানোর ব্যখ্যাটা সম্প্রতি দিয়েছেন ওসামাই।

স্প্যানিশ একটি রেডিও শো’তে ওসামা জানিয়েছেন, কেন তার বাবা জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা নেতার নামে তার নাম রেখেছিলেন!

তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের নাম সাদ্দাম হোসেন এবং আমার বাবা চেয়েছিলেন তার তৃতীয় সন্তানের নাম জর্জ বুশ রাখতে। দুর্ভাগ্যবশত এটি ছিল একটা মেয়ে। যখন ওসামা বিন লাদেন টুইন টাওয়ার ধ্বসিয়ে দিল, সে তখন সারাবিশ্বের শিরোনাম হয়ে উঠলো। আমার জন্ম ৭ অক্টোবর ২০০২ সালে। সেসময় বাবা আমার নাম রাখেন।

তবে এই নাম নিয়ে বেশ বিপত্তিতেও পড়তে হয়েছে পেরুর এই ফুটবলারকে। তিনি বলেন, এই নামে কেউই নাম রাখেনা। আমি খুবই বাজে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি। আমার জার্সিতে লেখা থাকে ওসামা। আমি নিজের নাম পরিবর্তন করার কথাও ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন আর এসব মনে হয়না। সব স্বাভাবিক মনে হয়।

আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়নস লিগে যে কীর্তি শুধু মেসি-ফাতির

তবে তার বাবার দেয়া এই নাম নিয়ে এখন আপত্তি নেই ওসামার। বরং বাবাকে সমর্থনই দিতে চাইলেন তিনি। বললেন, আমার বাবা এই নাম পছন্দ করতেন। সুতরাং সমস্যা কি? হিটলার নামে পেরুতে অনেকেই আছেন। আবার যিশু পৃথিবীকে রক্ষা করেছিল কিন্তু এই নামের অনেকেই আছে যারা সবার ক্ষতি করে। সুতরাং নাম নিয়ে কোন আইন থাকা উচিত নয় বলেই আমি মনে করি। এটা অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করে। অন্তত আমার তাই মনে হয়।

ওসামার একটা ছেলে আছে। যার নাম সান্তিয়াগো। তবে তার বাবার চাহিদা অনুযায়ী, নিজের ছেলেকে জর্জ বুশ নামে ডাকতে আপত্তি নেই ওসামার!

সূত্র: সময়নিউজ

আর/০৮:১৪/২১ অক্টোবর

Back to top button