জাতীয়

রেমিট্যান্সযোদ্ধারা পাচ্ছেন হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা

ঢাকা, ১৭ জুলাই- প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে। রেমিট্যান্সকে উৎসাহিত করতে পুরস্কারস্বরূপ প্রবাসীরাও পাচ্ছেন প্রণোদনা। বিদায়ি অর্থবছরে (২০২০-২১) সর্বশেষ কিস্তিতে এক হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। গেল সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে এই অর্থ ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট থেকে এই অর্থ দেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, রেমিট্যান্সপ্রবাহে সরকার খুশি। এই প্রবাহ ধরে রাখতে প্রবাসীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরেও এই খাতে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া আছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দও বাজেটে রাখা আছে। তাই বেশি রেমিট্যান্স এলেও প্রণোদনার অর্থ নিয়ে সমস্যা হবে না।

সূত্র মতে, বৈধ পথে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয় সরকার। তার পর থেকেই প্রতি মাসে হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড। রেমিট্যান্সের রেকর্ডের কারণে সরকার সর্বশেষ এপ্রিল-জুন মাসে প্রণোদনা বাবদ এক হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছে। গত অর্থবছরের এটিই প্রণোদনার শেষ অর্থছাড়। ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ‘ভর্তুকি ও প্রণোদনা’ থেকে এই এক হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, নতুন অর্থবছরে আগেরবারের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসতে  পারে। এতে এই খাতে অর্থ ব্যয় বেড়ে যেতে পারে।

রেমিট্যান্সের অর্থ ছাড়ের আদেশে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ব্যাংকের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই অর্থ ছাড় করা হয়েছে। অর্থ বিভাগের হিসাবে দেখা গেছে, চার কিস্তি মিলে জুন পর্যন্ত এই খাতে বরাদ্দের বেশি টাকা খরচ হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ি অর্থবছর শেষ হওয়ার দুই দিন আগেই সাড়ে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এটি আগের অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ৩৬ শতাংশ বেশি, যা নতুন রেকর্ড। এর মধ্যে জুনের প্রথম ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮০ কোটি ৩১ লাখ ডলার। গত বছরের প্রথম ২৮ দিনে রেমিট্যান্স আসে ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এ ছাড়া গত মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২১৭ কোটি ডলার। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে রিজার্ভও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে। দেশে প্রথমবারের মতো ৪৬ বিলিয়ন বা চার হাজার ৬০০ কোটি ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে রিজার্ভ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, প্রবাসীদের পাঠানো পাঁচ হাজার ডলার বা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনায় কোনো প্রশ্ন করা হচ্ছে না। জমা দিতে হচ্ছে না কোনো কাগজপত্র। তবে রেমিট্যান্সের পরিমাণ এই অঙ্কের বেশি হলে প্রাপককে প্রেরকের পাসপোর্টের কপি এবং বিদেশি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র অবশ্যই জমা দিতে হবে। আর ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে ব্যবসার লাইসেন্সের কপি দাখিল করতে হবে। দুই মাসের মধ্যে এসব নথিপত্র দাখিল করতে হবে। কাগজপত্র দাখিল করলেই মিলবে ২ শতাংশ নগদ সহায়তা।

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

আর আই

Back to top button