আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্রী হিসেবে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে রাবাব ফাতিমার পরিচয় হয়েছিল শ্রেণিকক্ষে। আর বাবার অনুপ্রেরণা কূটনীতিক হয়ে ওঠার জন্য ছিল বড় অনুপ্রেরণা। নিজেকে বিকশিত করার জন্য চমৎকার সহকর্মী, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের পেয়েছিলেন।
রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘এদিক থেকে আমি সৌভাগ্যবান। কাজের ক্ষেত্রে সব সময় পরিবার আমার পাশে থেকেছে। ফলে যখনই কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছি, তা অতিক্রম করা সহজ হয়েছে। আমার স্বামীও একজন কূটনীতিক। তাঁকে পাশে না পেলে আমার এতটা পথ পাড়ি দেওয়া হতো না।’
তিন দশকের বেশি সময়জুড়ে কূটনীতিক হিসেবে রাবাব ফাতিমার মনে রাখার মতো অনেক ঘটনা আছে। তবে ২০১১ সালে লিবিয়া থেকে ৩৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার স্মৃতি একেবারেই আলাদা।
রাবাব ফাতিমা বললেন, ‘ওই সময় আমি ঢাকায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) আঞ্চলিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। হঠাৎ লিবিয়ায় সংঘাত শুরু হলে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ আটকা পড়ে যান। প্রাণের ভয়ে অনেকে এখানে-সেখানে পালিয়ে বেড়াতে শুরু করেন। সরকারের অনুরোধে আটকে পড়া বিপুলসংখ্যক অভিবাসীকে আমরা মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলাম। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক সমর্থন এবং আইওএমের একদল চমৎকার সহকর্মীর জন্য আমরা ওই কাজে সফল হয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত আমি এটিকে আমার বিশেষ এক অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে বিবেচনা করি।’
এন এইচ, ১৬ জুলাই