পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ২১২ কোটি টাকা বরাদ্দ
ঢাকা, ১৫ জুলাই – বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন বন্ধ ঘোষিত পাটকলগুলোর ২১ হাজার ৫৫২ জন বদলি শ্রমিকের পাওনা পরিশোধের জন্য ২১২ কোটি ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিজেএমসির বন্ধ পাটকলগুলোর বদলি শ্রমিকদের জাতীয় মজুরি স্কেল, ২০১৫ ও জাতীয় মজুরি স্কেল, ২০১০ এর পার্থক্যজনিত বকেয়া পাওনা পরিশোধে এ অর্থ দেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয় এসব অর্থ বরাদ্দ দেয়। এসব টাকা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ‘পরিচালন ঋণ’ বা ‘অপারেশন লোন’ হিসেবে এ টাকা বরাদ্দ দেয়। তবে, বরাদ্দকৃত অর্থ ২০২১-২২ অর্থবছরের বিজেএমসির অধীন ১৮টি মিলের ২১ হাজার ৫৫২ জন বদলি শ্রমিকের বকেয়া পাওনা পরিশোধ ছাড়া অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না।
তবে, শর্তে আছে যে, বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিকের মিল প্রদত্ত টোকেন ও ইউনিক আইডি নম্বর, এনআইডি এবং ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে। আবশ্যিকভাবে এনআইডি যাচাই করে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে। কোনোভাবেই এনআইডি এবং ব্যাংক হিসাব ছাড়া বদলি শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা যাবে না। বদলি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধকালে মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া পাওনার বিষয়টি সরকারি বিধি-বিধানের আলোকে পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে পরিশোধ করবে। বকেয়া পাওনা পরিশোধকালে পাওনার বিষয়ে কোনো অসঙ্গতি দৃষ্টিগোচর হলে বিজেএমসি/মিল কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তা সংশোধনের ব্যবস্থা নেবে। বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। বিধিবহির্ভূতভাবে অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। বরাদ্দকৃত অর্থের জন্য অর্থ বিভাগের সাথে বিজেএমসি-কে একটি ঋণচুক্তি করতে হবে।
বিজেএমসির অধীন বন্ধ ঘোষিত মিলগুলোর বদলি শ্রমিকদের মধ্যে এনআইডি ও ব্যাংক হিসাব আছে এরকম ২১ হাজার ৬৪৩ জন শ্রমিকের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ২১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। এসব শ্রমিকের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ এনআইডি আছে ৯১ জনের এবং তাদের অনুকূলে আর্থিক সংশ্লেষ ১ কোটি ৪ লাখ টাকা। ত্রুটিপূর্ণ এনআইডিভুক্ত শ্রমিক বাদে অবশিষ্ট ২১ হাজার ৫৫২ জন বদলি শ্রমিকের অনুকূলে বকেয়া পাওনা বাবদ মোট ২১২ কোটি ৮ লাখ টাকা ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘পরিচালন ঋণ’ খাত থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজেএমসির অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিজেএমসির বন্ধ পাটকলগুলো ভাড়াভিত্তিক/ইজারা পদ্ধতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালুর কার্যক্রম চলছে। বেসকারি ব্যবস্থাপনায় পুনরায় চালু করা মিলে অবসায়নকৃত শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবেন। একই সঙ্গে এসব মিলে কর্মক্ষম ও দক্ষ শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সব শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে অবশ্যই পুনর্বাসন করা হবে।
সূত্র: রাইজিংবিডি
এম ইউ/১৫ জুলাই ২০২১