সামিনা নাজ কূটনীতিকের পেশা বেছে নিয়েছিলেন ২৫ বছর আগে। যখন চাকরি শুরু করেন, তখন তাঁদের ব্যাচে একসঙ্গে চার নারী কর্মকর্তা যোগ দিয়েছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একসঙ্গে দু-তিনজন কিংবা একজন নারী কর্মকর্তা যোগ দেওয়ার নজির ছিল। শুরুতে বাবার উৎসাহ–উদ্দীপনা, আর পরে স্বামী, সন্তান ও সহকর্মীদের সহযোগিতায় দায়িত্ব পালনটা তাঁর জন্য সহজ হয়েছে বলে মনে করেন সামিনা নাজ। এখন তিনি ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
নানা কারণে ভারতের মুম্বাইতে দায়িত্ব পালনের সময়টা এগিয়ে রাখতে চান সামিনা নাজ। মুম্বাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি শহরে মিশন খোলার মতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি সফল হন। সামিনা নাজ মুম্বাইতে উপহাইকমিশনার থাকার সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের যৌনপল্লীতে পাচার হওয়া কয়েক শ নারী–শিশুকে উদ্ধার করে দেশে ফেরত পাঠান। সামিনা নাজ জানান, মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পড়া নারী, শিশু ও পুরুষ মিলিয়ে ৩৭৬ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে নারী ও শিশুদের নিয়ে গিয়ে মুম্বাই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, গোয়াসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানের যৌনপল্লীতে পাচার করা হতো। ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় গত বছর তিনি মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হওয়া ১১৭ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন।
সামিনা নাজ মনে করেন, অন্যান্য পেশার মতো কূটনীতিতেও বাংলাদেশের নারীরা মেধা, যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে সমানতালে এগিয়ে চলেছেন। যখন কোনো ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকেন, সেখানে নারী বা পুরুষের হিসাব থাকে না। এই পদে পুরুষ যে কাজ করেন, নারীও একই কাজ করেন।
এস সি/ ১৫ জুলাই