পশ্চিমবঙ্গ

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্টের লিস্টে রয়েছে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা ও মন্ত্রীর নাম

কলকাতা, ১৫ জুলাই – রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্ট কলকাতা হাই কোর্টে জমা দিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের ওই রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায় নাম রয়েছে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা ও মন্ত্রীর। শুধু তাই নয়, ওই রিপোর্টে হিংসার ঘটনায় একাধিক মহিলার নামও রয়েছে। সব মিলিয়ে ১০০ জনের বেশি নাম রয়েছে কমিশনের ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ বা ‘গুণ্ডা’র তালিকায়। এর মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী, একাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়ক, কাউন্সিলর-সহ ১০ জনের বেশি ওজনদার নেতার নাম রয়েছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এই রিপোর্ট মানতে নারাজ। তাদের মতে, কমিশনের ওই রিপোর্টটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার অভিযোগ তোলে বিজেপি। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। আদালত অশান্তির রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দায়িত্ব দেয়। সেই মতো রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে তদন্ত শুরু করেন কমিশনের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সেই তদন্তের রিপোর্ট তাঁরা আদালতে জমা দেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, কমিশনের ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায় রয়েছে শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। তালিকায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক খোকন দাস এবং প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহ, কাউন্সিলর জীবন সাহার নাম রয়েছে। এ ছাড়া নাম রয়েছে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট থাকা শেখ সুফিয়ান এবং ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার। এ ছাড়াও ওই তালিকায় আরও ১৫-২০ জন তৃণমূলের ওজনদার নেতার নাম রয়েছে।

কমিশনের তালিকায় ভোট-পরবর্তী হিংসার পিছনে অভিযুক্ত হিসেবে তাঁদের নাম উঠলেও, তা সঠিক নয় বলে জানান নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই নামগুলি ইচ্ছাকৃত ভাবে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে পারেনি বলে এই সব প্রতিহিংসা পরায়ণের অভিযোগ করা হচ্ছে। এর কোনও মূল্য নেই।’’ আবার উদয়ন বলেন, ‘‘এই দল যে সব এলাকায় গিয়েছে তা থেকেই তাদের রাজনৈতিক চরিত্র প্রমাণিত হয়েছে। আমিও আক্রান্ত হয়েছিলাম, কিন্তু আমার বাড়িতে তারা আসেনি।’’

তথ্যসূত্র: আন্দবাজার পত্রিকা
এস সি/ ১৫ জুলাই

Back to top button