জানা-অজানা

পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেনের কথা

রাহীদ এজাজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞানের ছাত্রী সুলতানা লায়লা হোসেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর দুটোতেই প্রথম শ্রেণি নিয়ে পেয়েছিলেন তিনি। বিএসএস পরীক্ষা দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরি আর বিজ্ঞানী হওয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে জাপানে বৃত্তি নিয়ে পড়তে যাওয়ার সুযোগও ছিল। মা-বাবা কাছে সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে, তাঁরা দায়িত্বটা মেয়ের ওপর ছেড়ে দিলেন। কূটনীতিকের চাকরিতে যোগ দিয়ে জাপানে বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগটা পরেও পাওয়া যাবে। কিন্তু পিএইচডি শেষ করে নিশ্চয় কূটনীতিক হওয়ার সুযোগটা আর থাকবে না। তাই কূটনীতিক হওয়ার সিদ্ধান্তটা সুলতানা লায়লা হোসেন নিজেই নিয়েছিলেন।

তিনি জানান, তাঁদের আগে মাত্র ছয়জন নারী কূটনীতিক হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি আর সাঈদা মুনা তাসনিম যোগ দিয়েছিলেন একসঙ্গে। সে সময় এক অনুষ্ঠানের পর তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নিচ্ছিলেন তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারী কূটনীতিকদের কাছে জানতে পেরেছিলেন, তাঁদের জন্য আলাদা কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা ছিল না। পুরুষদের টয়লেট তাঁদের ব্যবহার করতে হয়। পরদিনই তাঁদের সমস্যা সুরাহার নির্দেশ দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কনসুলার অণু বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে পাঁচ বছরের বেশি সময় কাজ করেছিলেন সুলতানা লায়লা। ২০১০ সালে কাছাকাছি সময়ে লিবিয়ার সংঘাতে আটকে পড়া প্রায় ৩৭ হাজার বাংলাদেশি, সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৬ বাংলাদেশি এবং আফগানিস্তানে অপহরণকারীদের হাতে আটক অন্য সাত বাংলাদেশিকে অক্ষত উদ্ধারের মতো চ্যালেঞ্জিং কাজগুলো একসঙ্গে করতে হয়েছিল।

আরও পড়ুন ::

সুলতানা লায়লা বলেন, ‘এ ধরনের তিনটি সমস্যা একসঙ্গে সামাল দেওয়াটা ছিল রীতিমতো দুরূহ। শেষ পর্যন্ত যখন সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পেরেছি তখন যে স্বস্তিটা পেয়েছি, তা বলে বোঝানোর মতো নয়।’

এন এইচ, ১৫ জুলাই

Back to top button