জানা-অজানা

মরিশাসে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদের কথা

রাহীদ এজাজ

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকে বছরখানেক চাকরি করে রেজিনা আহমেদ যোগ দিয়েছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তাঁর সময়ে আটজন পররাষ্ট্র ক্যাডারে যোগ দিলেও তিনি ছিলেন একমাত্র নারী কর্মকর্তা। তা ছাড়া স্বামী-সন্তান সব মিলিয়ে শুরুতেই তাঁকে ধাক্কা খেতে হয়েছিল। কূটনীতিকের জীবনটা চালিয়ে যাবেন নাকি ছেড়ে দেবেন, এই দ্বিধা তাঁর বেশ ছিল। তবে ব্যাচমেটরা ছিলেন যথেষ্ট সহমর্মী। তাঁর মন খারাপের বিষয়টি ধরতে পেরে এক সহকর্মী প্রায় বলতেন, ‘তুমি আমাদের ছেড়ে যাবে কোথায়? তুমি তো সাত ভাই চম্পা।’

যদিও সেই সহকর্মী এখন দূর আকাশের তারা। এরপরও চাকরিটা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন রেজিনা আহমেদ। প্রয়াত পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস তখন প্রশাসন অনুবিভাগে কাজ করেন। তাঁকে গিয়ে একদিন রেজিনা জানালেন, চাকরিটা তিনি ছেড়ে দেবেন। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে মিজারুল কায়েস তাঁকে জানিয়েছিলেন, ‘অস্থির হওয়ার দরকার নেই। আপাতত প্রসঙ্গটি থাক। এ নিয়ে পরে কথা হবে।’

এভাবেই দেখতে দেখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এতটা সময় কেটে গেল তাঁর।

এন এইচ, ১৪ জুলাই

Back to top button