ফুটবল

ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনার বিষয়টিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না মেসিঃ ম্যারাডোনার ছেলে

 

ম্যারাডোনাকে কিংবদন্তি বললেও লিওনেল মেসির নামের আগে তা জুড়তে নারাজ অনেকেই। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে গেছেন মেসি।

বিশ্লেষকরা আর্জেন্টাইন খুদেরাজকে এখনই কিংবদন্তিদের কাতারে দাঁড় করা রাজি নয়। এমনকি ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনাও করতে রাজি নয় তারা।

এর কারণ একটাই। ম্যারাডোনা বিশ্বকাপ জিতেছেন, মেসি জিততে পারেননি। কোপা জয়ের আগে তো দেশের হয়ে মেসির ঝুলি শূন্য ছিল। সে কারণে ক্লাব ফুটবলের রাজা কখনোই ম্যারাডোনাকে পেছনে ফেলতে পারবেন না। এমনটাই দাবি বিশ্লেষকদের।

তবে এবারের কোপা আমেরিকা জয়ের পর ফের সেই তুলনার বিষয়টি আলোচনা এসেছে। এখন মেসি, ম্যারাডোনার সমান হতে পেরেছেন কি না সে প্রশ্ন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন দিয়েগো ম্যারাডোনার ছেলে দিয়েগো সিনাগ্রা। যাকে দিয়েগো ম্যারাডোনা জুনিয়র হিসেবেও ডাকা হয়।

সিনাগ্রার মতে, ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনার বিষয়টিতে মোটেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না মেসি। বিষয়টি তাকে পীড়া দেয়।

ম্যারাডোনা জুনিয়র বলেন, ‘দিয়েগো ছিলেন দিয়েগো আর মেসি তো মেসি। যারা মেসির সমালোচনা যারা করে, তারা ফুটবলের কিছুই বোঝে না। আমার বাবার সঙ্গে তুলনা করায় মেসিকে অনেক ভুগতে হয়েছে। তাই বলে আমি মেসিকে অপছন্দ করি তা নয়। আমি তাকে ভালোবাসি। ফুটবল ইতিহাসে তার মতো আর কেউ নেই। দেশের হয়ে শিরোপা জেতায় তাকে অনেক সুখী লাগছে। সেটা দেখে আমারও খুব ভালো লাগছে।’

এরপর প্রয়াত বাবার স্মরণে সিনাগ্রা বলেন, ‘অবশ্যই বাবাকে খুব মিস করি। তার কথাগুলো মনে পড়ে। আর্জেন্টিনার জার্সির প্রতি ভালোবাসাই তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছে।’

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা গত বছর ২৫ নভেম্বর মারা যান। ৬০ বছর বয়স হয়েছিল তার। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী এ কিংবদন্তি। বুয়েনস আয়ার্সে নিজ বাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ম্যারাডোনা। তবে তার মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের অবহেলা ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আর্জেন্টিনার আদালতে এ নিয়ে মামলাও চলছে।

সূত্রঃ যুগান্তর

আর আই

Back to top button