জাতীয়

জর্ডানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহানের কথা

ঢাকা, ১৩ জুলাই – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে নাহিদা সোবহান বিসিএস পরীক্ষা দেন। ২৫ বছরের কূটনৈতিক জীবনের বড় অংশ তিনি জাতিসংঘসহ বহুপক্ষীয় কূটনীতি আর অন্তত এক দশক ধরে অভিবাসন নিয়ে কাজ করেছেন। নিজের অভিজ্ঞতায় তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথেষ্ট নারীবান্ধব। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার সরকারি চাকরিতে নারীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সচেতন। তারপরও যেকোনো চ্যালেঞ্জিং কাজেই পরিবারের আন্তরিক উৎসাহ ও সহযোগিতা পাওয়াটা জরুরি। তা না হলে লক্ষ্য নিয়ে পেশাগত জীবনে নারীর এগোনোটা কঠিন।

দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশের বিভিন্ন মিশনে বিভিন্ন পদে কাজ করার পর নাহিদা সোবহান জর্ডানে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রদূত। তাঁর মতে, মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো দেশে নারী রাষ্ট্রদূত হওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। তবে জর্ডানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। কারণ, জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যের একটি উন্নয়নশীল দেশ হলেও বাংলাদেশের মতোই প্রগতিশীল এবং নারীর ক্ষমতায়নে বদ্ধপরিকর। তাই দেশটিতে নারী রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।

নাহিদা সোবহান বলেন, ‘পেশাদারত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই। তার একটা বড় প্রমাণ জর্ডানে প্রায় ৭০ হাজার নারী পেশাদারত্বের সঙ্গে দক্ষ কর্মী হিসেবে কাজ করছেন। একইভাবে গত বছর করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে জর্ডানে কঠোর বিধিনিষেধ কিংবা সান্ধ্য আইন চলার সময়ে আমি সরাসরি নিজে গিয়ে বাংলাদেশের দুস্থ নারী অভিবাসীদের খাবারসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছি। এ ক্ষেত্রে শুধু নারী হিসেবে নয়, বাংলাদেশের একজন পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে বাংলাদেশি অভিবাসী নারীদের পাশে দাঁড়ানোটা আমার জন্য গর্বের।’

তথ্যসূত্র: প্রথম আলাে
এস সি/ ১৩ জুলাই

Back to top button