অষ্ট্রেলিয়া

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে বাংলাদেশের ঐতিয্যবাহী খাবার ’পান্তা ভাত ও আলু ভর্তা’ জন্য প্রশংসিত হলো বাংলাদেশের কিশোয়ার

সিডনি, ১২ জুলাই – মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে প্রশংসিত হলো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিযোগী কিশোয়ারের পান্তা ভাত, আলু ভর্তা। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় রন্ধন বিষয়ক রিয়্যালিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে পর্ব শুরু হয়েছে। গ্র্যান্ড ফিনালের প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী তার রেসিপি হিসেবে পান্তা ভাত, আলু ভর্তা, মাছ ভাজা এবং সালাদ উপস্থাপন করেছেন।

১২ জুলাই বিচারকদের সামনে গ্র্যান্ড ফিনালের প্রথম রাউন্ডে বাঙালি খাবারকে প্রতিনিধিত্বকারী কিশোয়ার চৌধুরী তার রেসিপি উপস্থাপন করে বলেন, “এটা এমন এক ধরনের খাবার যেটা আপনি কোনো রেস্তোরাঁয় পাবেন না।”

এত বড় একটি প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে এ রকম রেসিপি উপস্থাপন করায় ভীতি কাজ করলেও এই রেসিপি নিয়ে নিজে গর্বিত বলে জানান কিশোয়ার চৌধুরী। মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ফেসবুক পেজে গ্র্যান্ড ফিনালের প্রথম রাউন্ডের একটি ভিডিওতে কিশোয়ারের রেসিপির প্রশংসা করতে দেখা যায় বিচারকদের।

গতকাল সেমিফাইনাল রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিযোগী জাস্টিন নারায়ণ ও অ্যালিস পুলব্রুক এর সাথে লড়াইয়ে জিতে গ্র্যান্ড ফিনালেতে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রতিযোগী কিশোয়ার চৌধুরী। কিশোয়ারকে বিজয়ীর মুকুটে দেখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ‘হ্যাশট্যাগ গো কিশোয়ার’ ট্রেন্ড।

প্রতিযোগিতার এবারের মৌসুম শুরুর পর থেকেই চমক দেখিয়ে আসছেন কিশোয়ার চৌধুরী। তার বাবা বাংলাদেশি বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিশোয়ারের মায়ের বাড়ি কলকাতায়। ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্নের বাসিন্দা কিশোয়ার চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়াতেই। জানা যায়, কিশোয়ার পেশায় একজন বিজনেস ডেভেলপার। দুই সন্তানের মা কিশোয়ার সন্তানদের জন্য বাংলাদেশি খাবার রান্না করতে গিয়েই পরিবারের কাছ থেকে শিখেছেন নানান রেসিপি।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে রান্নাবিষয়ক রিয়্যালিটি মাস্টারশেফ এর আয়োজন করে থাকে। তবে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, অস্ট্রেলিয়াতেও এটি সর্বাধিক প্রচারিত অনুষ্ঠান।

তথ্যসূত্র: দেশ রুপান্তর
এস সি/১২ জুলাই

Back to top button