কলকাতা, ১২ জুলাই – নন্দীগ্রাম মামলার বেঞ্চ বদল। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকারের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন মেনে আগেই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। এবার আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপর থেকেই নন্দীগ্রাম আসনটি নিয়ে অনেক বেশি হইচই শুরু হয়। ওই কেন্দ্র থেকে নিজেই ভোটে লড়বেন বলেই জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শুভেন্দু অধিকারী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গত ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী ওই আসনে জিতে যান। তবে প্রভাব খাটিয়ে ওই ফল বলেই অভিযোগ তৃণমূলের। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করা হয়।
বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে কেন সেই মামলা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে আইনজীবীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। শুধু আইনজীবীরা নন, মুখ্যমন্ত্রীর করা নন্দীগ্রাম মামলার এজলাস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতাদের একাংশও। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O Brien) দু’টি ছবি টুইট করেছিলেন। যে ছবিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় দেখা গিয়েছিল বিচারপতি চন্দকে। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর মামলা যে বিচারপতির এজলাসে দেওয়া হয়েছে, সেই কৌশিক চন্দ আগে বিজেপির ‘সক্রিয় সদস্য’ ছিলেন। তাই তাঁর এজলাসে নন্দীগ্রাম মামলা উঠলে বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
ভারপ্রাপ্ত বিচারপতিকেও সেকথা জানানো হয়। তবে সে বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি। গত ২৪ জুন এই মামলার শুনানিতে ভারচুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন মামলা থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দের কাছে ইন্টার লোকেটরি আবেদন জানানো হয়। এর পর ৭ জুলাই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
এম এউ, ১২ জুলাই