পশ্চিমবঙ্গ

শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি

কলকাতা, ১২ জুলাই – গত কয়েকদিন আগেই সামনে আসে শুভেন্দুর দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগ। তিন বছর আগে মৃত ওই দেহরক্ষীর স্ত্রী এটি এফআইআর করেন। আর সেই ঘটনায় এ বার তদন্তভার নিল সিআইডি।শুভব্রত চক্রবর্তী নামে ওই দেহরক্ষীর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী কাঁথি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ৩০২ ও ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু হয়েছ। এ বার সেই মামলারই তদন্ত করবেন সিআইডি অফিসাররা।

২০১৮ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় রাজ্যের শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর। সেইমসয় রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলায় তিন বছর পর এফআইআর দায়ের করেছেন সুপর্ণা। কী ভাবে মৃত্যু হল, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, শুভব্রত দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী ছিলেন। ২০১৮ সালে ১৪ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। স্ত্রী সুপর্ণার অভিযোগ, ঘটনাটি প্রথম থেকেই রহস্যজনক। কেন গুলি, কেনই বা এক জন মন্ত্রীর দেহরক্ষী হয়েও অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হল, একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

অভিযোগ পত্রে তিনি লিখেছেন, ২০১৮ সালে ১৪ অক্টোবর ঘটনার সময় তিনি স্কুলে কর্মরত ছিলেন। একটি ফোনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পৌঁছন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। দ্রুত তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করতে হবে। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হওয়ায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় শুভব্রতর। স্ত্রী সুপর্ণার প্রশ্ন অ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরির পিছনে কি কোনও উদ্দেশ্য ছিল?

অন্যদিকে, প্রশ্ন উঠেছে ২০১৮ সালের এই ঘটনায় কেন এতদিন পর এফআইআর করলেন তিনি। কিন্তু ধোঁয়াশা অন্য জায়গায়। ২০১৮ সালের ঘটনার পর এতদিন কেন তিনি চুপ করে ছিলেন? স্বামীর মৃত্যুর পিছনে যে রহস্য রয়েছে, তা কি তাঁর বুঝতে দেরি হল? ২০২১ সালে এসে কেন তিনি এফআইআর করলেন? তাঁর স্ত্রীর দাবি, শুভেন্দু অধিকারী প্রভাবশালী মানুষ, তাই প্রথমেই তিনি মুখ খুলতে পারেননি। কিন্তু এখন যেহেতু পরিস্থিতি বদলেছে, তাই তিনি সাহস করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এন এইচ, ১২ জুলাই

Back to top button