জাতীয়

আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের পাশে ছিল, এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে: মতিয়া চৌধুরী

ঢাকা, ১২ জুলাই – করোনা মহামারিতে বিএনপি কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, একটি দল আছে, যারা হাত গুটিয়ে থাকেন। তারা ফটোসেশন করেন। আর সরকারকে গালিগালাজ করেন। তারা কখনো মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সে ইতিহাস নেই। ৯১ সালে বিএনপির ক্ষমতার সময়েও ঘূর্নিঝড়ের সময় আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা টলারে ছুটে গেছেন দক্ষিনবঙ্গে। আর সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সংসদে বলেছিলেন যত মরার কথা ছিল তত মরেনি।

রোববার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেনআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের পাশে ছিল। এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করছি। মানুষকে সেবা করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের শিখিয়ে গেছেন। মানুষের জন্য রাজনীতি করাও এক ধরনের ইবাদত। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নত জীবনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও ইবাদত। আজকে সারা বিশ্ব করোনায় আক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি।

এসময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবা মা হারানোর বেদনা বুঝেন। তিনি এমন একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যে, তার মুখের কথায় দলের নেতাকর্মীরা জীবন দিতে প্রস্তুত। সারাদেশে করোনায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ , স্বেচ্চাসেবক লীগ, কৃষক লীগ কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে। খাদ্য বিতরণ, সবজি বিতরণ, এম্বুলেন্স তৈরি করে রাখা, মৃত্ ব্যক্তির দাফন কাফন করেছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ৪০ বছরের রাজনীতিতে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে আছে, দলের নেতাকর্মী যতদিন বেঁচে আছে ততদিন এই দলের ক্ষয় নেই। আওয়ামী লীগ সব সময় মানবিক কাজ করে যাচ্ছে। একামাত্র আওয়ামী লীগই করোনার শুরু থেকে মাঠে ছিল। আগামীতেও থাকবে।

অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর পরিচালনায় বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক, হুমায়ুন কবির অন্যরা।

যেসব সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ:: ৩ টি অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর, ৩০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ১ লাখ ২০ হাজার উন্নত মানের মাস্ক,দাঁতের মাজন, এন্টি সেপটিক সাবান, হ্যান্ডওয়াস পিপিই-৩০০ ছাড়াও ১২’শ খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট (খাদ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে, চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ)। অক্সিজেন সিলিন্ডার ও কন্সেন্টটর দেয়া হয়েছে, ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতাল, নড়াইল জেনারেলের হাসপাতাল, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদী খান ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খুলনা সদরসহ, কয়রা, পাইকগাছা, দীঘলিয়া, যশোরের চৌগাছা, সিআরপি সাভার, সুনামগঞ্জের ধর্মশালা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, শেরপুরের নলিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতি, শ্রীবর্দী, নীলফামারীর টিমলা, সাতক্ষীরা কলারোয়া, টাঙ্গাইলের মধুপুর, কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এছাড়াও যশোরের যুবসমাজের উদ্যোগে গঠিত শেখ ফজলুল হক মণি-আরজু মণি অক্সিজেন ব্যাংক।

খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণে অংশ নেয়- মহিলা শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী মটরচালক লীগ, বাস্তুহারা লীগ, যুব মহিলা লীগ, আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম, আমরা ঢাকাবাসী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি, ঋষিমণি সম্প্রদায়, জাতীয় দাফন কমিটি, জাতীয় মহাশ্মসান কমিটি, ডিজিটাল প্লাস ফাউন্ডেশন, উদীয়মান নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থা, আশ্রায়ন প্রকল্প শ্যামপুর, বিরুলিয়া, স্পেশাল চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, আদমজী চালু সংগ্রাম পরিষদ

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এস সি/ ১২ জুলাই

Back to top button