রানের পাহাড় গড়ে থামল টাইগাররা
হারারে, ০৮ জুলাই – জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে টাইগারদের ইনিংসের শুরুতে নড়বড়ে হলেও নবম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ এবং তাসকিন আহমেদের ১৯১ রানের রেকর্ড গড়া জুটির উপর ভর করে রানের পাহাড়ই গড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪৬৮ রান।
২৭০ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলের হয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলায় ব্যাট করতে আসেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ। দিনের শুরুতে অনেকে হয়তো ভেবেছিলেন তিনশ করতেই ফুরিয়ে যাবে বাংলাদেশের সবকটি উইকেট।
এমন লোকদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন দলের এই দুই ব্যাটসম্যান। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচের ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর সেটা দেড়শো রানে পৌঁছান রিয়াদ। অন্যদিকে তাসকিন তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। আর তাসকিন-মাহমুদউল্লাহর জুটি থেমেছে ১৯১ রানে।
আজ থেকে প্রায় ২৩ বছর আগে নবম উইকেটে জুটিতে দুই প্রোটিয়া ক্রিকেটার মার্ক বাউচার এবং প্যাট মিসকক্স মিলে করেছিলেন ১৯৫ রান। তবে বিশ্বরেকর্ড না হলেও নবম উইকেটে বাংলাদেশের এবং হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডের এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি।
তাসকিন আউট হন ৭৫ রানে। ১৩৪ বলে খেলা তার ইনিংসটি ১১ চারে সাজানো। এরপর শেষ উইকেটে খেলতে আসা এবাদত হোসেন করতে পারেননি কোনো রান। অন্যদিকে ১৫০ রানে অপরাজিতই থাকেন সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৭৮ বলে শৈল্পিক এই ইনিংসে ১৭টি চার এবং একটি ছয়ও হাঁকিয়েছেন তিনি।
এর আগের ম্যাচের প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সফররত বাংলাদেশ দলের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বোল্ড হয়ে ফেরেন সাইফ হাসান। ব্যক্তিগত খাতায় ছিল কোনো রান। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা নাজমুল হাসান শান্ত করেছেন ২ রান।
তৃতীয় উইকেটে জুটিতে চাপ সামলে দলের হাল ধরেন যাচ্ছেন সাদমান-মুমিনুল। এ সময় দুজন মিলে তুলেন ৬০ রান। ৬৪ বলে ২৩ রান করে আউট হন সাদমান। পরের উইকেটে মুশফিকুর রহিম নিয়ে আরো প্রতিরোধের চেষ্টা করেন মুমিনুল। কিন্তু অধৈর্য্য হয়ে মুশফিক ফিরেছেন ব্যক্তিগত ১১ রান। আর টেস্টে ফিরে ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আউট হওয়ার আগে ৫ বলে করেছেন মাত্র ৩ রান।
এদিকে আপনতালে খেলতে থাকা দলীয় অধিনায়ক মুমিনুল হক ক্যারিয়ারের আরো একটি ফিফটি তুলে নেন। এরপর দেখে-শুনেই খেলছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭০ রানে মেয়ার্সের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন মুমিনুল।
১৩২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর কিছুটা ভীতি সঞ্চার হয়েছিলো টাইগার শিবির। এমন সময় দলের হয়ে ক্রিজে খুঁটি গাড়েন লিটন-মাহমুদউল্লাহ। সপ্তম উইকেট জুটিতে দুজন মিলে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর হাঁটছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। কিন্তু ৯৫ রানে ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরেই বলেই আউট হয়েছে বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ০৮ জুলাই