ঢাকা, ২১ অক্টোবর- নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল)-এর টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা করতে নিরাপদে দেশে ফিরতে চান প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার। আগামী ২৫ অক্টোবর দুবাই থেকে অ্যামিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা আসার জন্য টিকিট কেটেছেন তিনি। বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা। গতকাল বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্টে বেঞ্চে আইএলএফএসএলের পক্ষ থেকে করা আবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশের জন্য আজ দুপুর ২টায় দিন ঠিক করেছে আদালত।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর একই বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত আরেকটি আবেদন করেছিল আইএলএফএসএল। ওইদিন আদালত জানিয়েছিল পি কে হালদার কবে, কখন, কীভাবে ফিরতে চান তা আইএলএফএসএল লিখিতভাবে জানালে সে বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেবে আদালত।
আইএলএফএসএলের পক্ষে আবেদনটি দাখিল করেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। পরে এ বিষয়ে খুরশীদ আলম খান বলেন, আইএলএফএসএলের পক্ষে পি কে হালদারের দেশে ফেরার বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল এবং দুদকের পক্ষে বক্তব্য শুনে আদেশের জন্য বুধবার দুপুর ২টায় দিন ঠিক করেছে।
আরও পড়ুন: বিবস্ত্র করে নারী নির্যাতন : দেলোয়ার ৭ দিনের রিমান্ডে
জানা গেছে, গত ২৮ জুন পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি আবেদন করেন। এক পৃষ্ঠার আবেদনের সঙ্গে তিন পৃষ্ঠার ব্যক্তিগত পরিচিতি সংযুক্ত করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর দেওয়া ওই আবেদনে তিনি বলেন, আইএলএফএসএল তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মালিকানার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছে। তার অনুপস্থিতি ও দেশের মধ্যে সৃষ্ট অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতিতে ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনায় জটিল আকার ধারণ করেছে। দেশে ফিরতে পারলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংকট কেটে যাবে এবং করোনা সময়ে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে। পি কে হালদারের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, তিনি ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশে দেশে ফিরতে চান। দেশে ফিরে তার সব প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আইএলএফএসএলসহ অন্যান্য সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দায়দেনা মিটিয়ে ফেলতে চান। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই আইএলএফএসএল আদালতের শরণাপন্ন হয়। প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দুই বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৯ জানুয়ারি এক আদেশে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
আডি/ ২১ অক্টোবর