৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন মমতা
কলকাতা, ০৮ জুলাই – নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা মামলার জল কি এ বার সুপ্রিম কোর্টেও গড়াবে? সূত্র মারফৎ পাওয়া খবর অনুযায়ী, খুব সম্ভবত তেমনটাই হতে চলেছে। বুধবার এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। সূত্রের খবর, এই জরিমানার বিরোধিতা করেই এ বার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম দুয়ারে যাবেন তিনি।
বিচারপতি কৌশিক চন্দের জরিমানার নির্দেশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানতে নারাজ, তা মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে উচ্চতর বেঞ্চে না গিয়ে বরং সোজা সুপ্রিম কোর্টেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদি এমনটা হয় তবে গত এক মাসের ব্যবধানে দুবার সুপ্রিম কোর্টে যাবেন মমতা। এর আগে নারদ মামলায় হাইকোর্ট তাঁর এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হলফনামা গ্রহণ না করায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা।
তবে বিচারপতি কৌশিক চন্দ এ দিন মামলাটি ছাড়ার আগে যে কড়া বাক্যবাণ প্রয়োগ করেছেন, তা একপ্রকার নজিরবিহীন বললেও কম হয়। তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থাকে ‘কলুষিত করার জন্যই’ জরিমানা করা হয়েছে। নারদ মামলা কৌশিক চন্দের এজলাসে হোক, তা কখনই চাননি মমতা। এর কারণ হিসেবে দাবি করা হয়, কৌশিক চন্দকে একাধিক সময় বিজেপির নানা অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। তিনি ‘বিজেপি মনোভাবাপন্ন’ বলেও দাবি করে তৃণমূলের আইনজীবী সেল। ফলে যে মামলাটি খোদ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে, তার শুনানি কৌশিক চন্দের এজলাসে হলে নিরপেক্ষ রায় নাও হতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিল তৃণমূল নেত্রীর।
মামলাটি অন্য এজলাসে সরানোর জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে, এমনকী খোদ কৌশিক চন্দের কাছেও আবেদন জানিয়েছিলেন মমতার আইনজীবী। এই নিয়ে দীর্ঘ কয়েকদিন টানাপড়েন চলে। যে কারণে নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার আর্জি জানিয়ে করা মামলার শুনানি শুরু করাই সম্ভব হয়নি। কোন এজলাসে এই মামলা শোনা হবে, এ বার সেই বিতর্কের কিছুটা অবসান হতেই ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন মমতা।
তথ্যসূত্র: টিভি ৯
এস সি/০৮ জুলাই