ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘরে ঘরে জ্বর, আগ্রহ নেই করোনা পরীক্ষায়
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ০৮ জুলাই- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উপজেলায় অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের রোগী সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৬৫ শতাংশ জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
করোনা মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ে সারা দেশে যখন সর্বাত্মক লকডাউন তখন এসব উপসর্গ দেখা দেওয়া ও দিন দিন রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পুরো উপজেলা জুড়ে আতংক বিরাজ করছে।
জ্বরে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীই করোনা পরীক্ষা ও হাসপাতালে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে। যারা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে তারাও আবার করোনা পরীক্ষা করতে খুব একটা আগ্রহী নয়।
জানা যায়, উপজেলার প্রতিটি গ্রামে এমন ঘর কমই আছে যে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত রোগী নেই। অধিকাংশ রোগীই গ্রামের নানা ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে তা সেবন করছে। করোনা শনাক্ত হলে সমাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে করোনা পরীক্ষা কিংবা হাসপাতালে যাচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহে গড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের অধিকাংশ জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে কারো কারো শ্বাসকষ্ট রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে মাত্র দুজন রোগী ভর্তি আছেন, বাকীরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া গত এক সপ্তাহে ২২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুধু বুধবারই ৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানভীর সালাম বলেন, জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন আশংকাজনকভাবে বাড়ছে। কিন্তু সে হারে পরীক্ষা হচ্ছে না। গত এক সপ্তাহে মাত্র ৬৯ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করেছি আমরা। করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছে তিন হাজারেও বেশি রোগী। তবে আমরা নানাভাবে রোগীদেরকে করোনা পরীক্ষা করতে উৎসাহিত করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়াছে। চিকিৎসকগণ রোগীদের করোনা পরীক্ষা করার কথা বললেও তাদের অধিকাংশই নানা অজুহাতে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
আর আই