জানা-অজানা

ভ্যালেনটাইনস ডের মজার তথ্যগুলো

বিশ্বের সব মানুষের কাছে ভালোবাসার চিরন্তন বাণী নিয়ে প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইনস ডের আগমন ঘটে। চলে উত্সব ও অনুষ্ঠানের নানা আয়োজন। কিন্তু এ দিবসটির পটভূমির কথা জানে কজন? সে কথা তো রইলই, দেওয়া হলো আরও আটটি মজার তথ্য:

১. ভ্যালেনটাইনস ডে যার নামে উদযাপিত হয়ে আসছে, প্রাচীন রোমের সেই খ্রিষ্টান সাধু সেন্ট ভালেন্টিনাস ব্যক্তিগত জীবনে খুব একটা আমুদে প্রকৃতির লোক ছিলেন না। তিনি কি রোমের ভ্যালেনটাইন ছিলেন, নাকি টার্নি শহরের ভ্যালেনটাইন ছিলেন, এ ব্যাপারেও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। এমনকি তাঁর প্রেম দীর্ঘস্থায়ী ছিল কি না, এ ব্যাপারেও খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। কেবল এটুকুই জানা গেছে, রোমানদের হাতে তাঁর শিরশ্ছেদের আগে প্রিয়তমাকে লেখা চিঠির শেষে তিনি লিখেছিলেন, ‘তোমার ভ্যালেনটাইন’।

২. আপনার কি ধারণা রয়েছে, কারা সবচেয়ে বেশি ভ্যালেনটাইনের দেখা পান? অন্তত একটি জরিপের ফলাফলে উত্তর পাওয়া গেছে—শিক্ষকেরা।

আরও পড়ুন ::

৩. ১৭৯৭ সালে একজন ব্রিটিশ প্রকাশক তরুণ প্রেমিকদের জন্য একগুচ্ছ আবেগঘন পদ্য প্রকাশ করেন। এটা সেসব তরুণকে সহায়তার উদ্দেশে প্রকাশ করা হয়েছিল, যাঁরা নিজের আবেগ পদ্যের মাধমে প্রকাশ করতে পারেন না। এরই ধারাবাহিকতায় ভ্যালেনটাইনস দিবসে কার্ড বিনিময়ের চল শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

৪. প্রথাগতভাবে ভালোবাসা দিবসে যে হূদয় আকৃতির প্রতীক ব্যবহার করা হয়, সেটির ধারণা সিলফিয়াম নামের এক ধরনের ঔষধি গাছের বীজ থেকে এসেছে। তবে মজার ব্যাপার হলো, বহুকাল আগে ধর্মীয়ভাবে আঁকা বিভিন্ন চিত্রে পাইনগাছের মোচার আকৃতিকে হূদয়াকৃতির সঙ্গে তুলনা করা হতো।

৫. যুক্তরাষ্ট্রে শুভেচ্ছাকার্ড অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, দেশটিতে এদিন প্রতিবছর ১৯ কোটি প্রেমিক-প্রেমিকা ভালোবাসার শুভেচ্ছাকার্ড পান। ফ্রান্সে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তিনটি করে কার্ড পাঠালে এ সংখ্যার সমান হবে।
এই যে এত কোটি কোটি কার্ড, ভালোবাসা দিবসের এত এত শুভেচ্ছাবাণী এর শুরুটা কোথায় হয়েছিল জানেন? ভালোবাসা দিবসের প্রথম চিরকুট যিনি পাঠিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন ফ্রান্সের ওরলিঁও শহরের ডিউক। তাঁর নাম ছিল চার্লস। ১৪১৫ সালে একটি যুদ্ধে পরাজয়ের পর তাঁকে টাওয়ার অব লন্ডনে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছিল।

৬. সত্যিকার কার্ডের পাশাপাশি আজকের ডিজিটাল যুগে সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ই-কার্ড, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠানো যায়। একটি হিসাব বলছে, ২০১০ সালের ভ্যালেনটাইনস দিবসে দুনিয়াজুড়ে মোট এক কোটি ৫০ লাখ ই-ভ্যালেনটাইনস কার্ড বিনিময় হয়েছিল।

৭. ২০ শতকের মাঝামাঝি থেকে ভালোবাসা দিবসের উপহার হিসেবে কার্ড, গোলাপ ফুল, লাল সাটিন কাপড়ে মোড়ানো চকলেট, হূদয় আকৃতির বাক্সসহ নানা ধরনের উপহার বিনিময়ের চল শুরু হয়। ১৯৮০ সাল থেকে এতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। সে সময় থেকে হীরাশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা দিনটিতে প্রিয়জনকে হীরার তৈরি গয়না উপহার দেওয়ার বিষয়ে মানুষকে উত্সাহিত করতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন:  যেভাবে শুরু হয়েছিলো ভালোবাসা দিবস

৮. এ বছর ভ্যালেনটাইনস দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের একটি রেস্তোরাঁ ক্রেতাদের অভিনব এক ডিনারের প্যাকেজ অফার করেছে। অফারটি হলো ‘জীবনে একবারই ৩০ হাজার ডলারের ভ্যালেনটাইনস দিবসের ডিনার’। এই প্যাকেজের মধ্যে নানা পদের খাবারের পাশাপাশি রয়েছে এক আউন্স পরিমাণ মাছের বিশেষ ধরনের ডিম, চকলেট লাভা কেক, যার ওপরে থাকবে ২৪-ক্যারেট সোনার পাতা। এ ছাড়া থাকবে শেল্টার দ্বীপের অজস্র ঝিনুক।

৯. সিফিলিস রোগের সবচেয়ে প্রচলিত চিকিত্সাপদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছিল ১৯২৮ সালের ভ্যালেনটাইনস দিবসে।

Back to top button