আগরতলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ সরানোয় ২০ নাগরিকের যৌথ বিবৃতি
ঢাকা, ০৬ জুলাই – আগরতলায় মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ সরানোয় ২০ জন নাগরিক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্মাতা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারত তথা ত্রিপুরার মানুষের বিশাল সমর্থন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার কেন্দ্রস্থল পোস্ট অফিস চৌমোহনির ৪০ ফুট উঁচু শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি ভারত ও বাংলাদেশের গণমানুষের অভিন্ন মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ও সৌহার্দ্যের অন্যতম প্রধান স্মৃতিচিহ্ন, যা দুই দেশের বীর শহীদদের সম্মিলিত রাখিবন্ধনের সাক্ষী।
আগরতলার এই স্মৃতি-বিজড়িত স্থানটি ঘিরেই ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধরত গণমানুষকে ঐতিহাসিক ঋণবন্ধনে আবদ্ধ করেছিল। এই স্মৃতিস্তম্ভটি সম্প্রতি বিলোপ করা হয়েছে বলে আমরা গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই দেশের রক্তরঞ্জিত সম্পর্কের ইতিহাস-জড়িত স্মৃতিস্তম্ভটি সরিয়ে ফেলায় আমরা ব্যথিত বোধ করছি। আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্মৃতিস্তম্ভটি যথাস্থানে স্বমহিমায় পুনঃস্থাপনের অনুরোধ জানাই এবং দুই দেশের মানুষের সম্পর্কের প্রতীকী স্মৃতিস্মারক সমূহ যথাযথ সংরক্ষণের প্রয়োজন বোধ করি।
বিবৃতিদাতারা হলেন—আব্দুল গাফফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, সৈয়দ হাসান ইমাম, আবেদ খান, লায়লা হাসান, সেলিনা হোসেন, আবদুস সেলিম, শহীদুল্লাহ খান বাদল, হাবীবুল আলম বীরপ্রতীক, শাহরিয়ার কবির, মোহাম্মদ নুরুল আলম, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, হারুন হাবীব, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মফিদুল হক, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল ও আসাদুজ্জামান নূর৷
সূত্র : বাংলানিউজ
এম এউ, ০৬ জুলাই