কিট সংকটে রাজশাহীতে ৪ দিন ধরে বন্ধ র্যাপিট অ্যান্টিজেন টেস্ট
রাজশাহী, ০৫ জুলাই- করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীতে কেবলমাত্র কিট সংকটের কারণে চারদিন ধরে করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে থাকা আরটিপিসিআর ল্যাবে নমুনা সংগ্রহকারী তিনজন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। তাই এখন শহরের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বেশি সংখ্যক মানুষকে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনতে রাজশাহী মহানগরীতে গত ৬ জুন থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছিল। প্রথমে পাঁচটি পয়েন্টে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়। পরে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট ও রামেক হাসপাতাল সংলগ্ন লক্ষ্মীপুর মোড়সহ শহরে আরও আটটি বাড়িয়ে মোট ১৩টি পয়েন্টে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছিল। এসব পয়েন্টে বিপুল মানুষের সাড়াও জাগে। ১৩টি স্পটে প্রতিদিন ১ হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা যাচ্ছিল।
সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে আলাপে জানা যায়, প্রথমদিকে এই টেস্ট করাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম ছিল। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে অ্যান্টিজেন টেস্টে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। কিন্তু কিট সংকটের কারণে গত ১ জুলাই হঠাৎ করেই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বন্ধ হয়ে যায়।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত তারা রাজশাহী মহানগরে প্রায় ২০ হাজার মানুষের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করেছেন। কিন্তু কিট ফুরিয়ে যাওয়ায় পহেলা জুলাই থেকে টেস্ট বন্ধ রয়েছে। কিটের জন্য তারা ইতোমধ্যে সিভিল সার্জন দফতরে চিঠিও দিয়েছেন।
তবে কিট সংকটে নগরীতে ফ্রি অ্যান্টিজেন টেস্ট বন্ধ হলেও উপজেলা পর্যায়ে চালু আছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। কিট এসে পৌঁছালে আবারও রাজশাহী মহানগরীতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হবে।
সূত্রঃ ইত্তেফাক