বাউফলে চেয়ারম্যানের দেহরক্ষীর হাতে পিস্তলের সেই ছবি ভাইরাল
পটুয়াখালী, ০৪ জুলাই – পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশ বৈঠকে কিশোরী মেয়েকে জোর করে বিয়ে করে সমালোচিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান (সাময়িক বরখাস্ত) শাহিন হাওলাদার আবার আলোচনায় এসেছেন। তার দেহরক্ষী মো. রুবেল হোসেনের পিস্তল হাতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
রুবেল হোসেন (২৬) কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভুখালি গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক সিকদারের ছেলে। তিনি কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের (৬০) দেহরক্ষী কাম মোটরসাইকেল চালক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন,‘ পিস্তলটি আসল না নকল তা জানি না। তবে তাদের কাছে পিস্তল আছে এটা জানি। আর এই পিস্তলের ভয়ের কারণে এলাকার মানুষ তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।’
মো. রুবেল হোসেন বলেন, পিস্তলটি খেলনা পিস্তল। কীভাবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে বুঝতে পারছি না। তার কাছে বৈধ কিংবা অবৈধ কোনো পিস্তল নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি নজরে আসার পরে ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে। ছবিটি দেখে প্রথম পর্যায়ে আমার কাছে খেলনা পিস্তলের মতো মনে হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে গত ২৫ জুন প্রেমঘটিত একটি সালিশে এক কিশোরীকে বিয়ে আলোচনায় আসেন কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। পরে ওই কিশোরী তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে যায়।
সূত্র : জাগো নিউজ
এম এউ, ০৪ জুলাই