মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ২৫ জান্তাবিরোধী নিহতের দাবি
নেপিডো, ০৪ জুলাই – মিয়ানমারের কেন্দ্রের একটি শহরে সামরিক জান্তাবিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এ সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ২৫ জনকে হত্যা করেছে। আজ রবিবার মিয়ানমারের স্থানীয় বাসিন্দা ও মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির রাজধানী ন্যাপপিডোর প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরের সাগাইং অঞ্চলের দেপায়িনে এ সহিংসতা হয়। এ বিষয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্রের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মিয়ানমারের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম জানায়, ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা’ সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়। এর পর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে হামলাকারীরা পিছু হটে। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটি বিশৃঙ্খলায় ডুবে গেছে। প্রায় ৫৩ মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যার দেশটির অনেক জায়গায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
আক্রান্ত হবার ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেপায়িনের এক বাসিন্দা জানান, গত শুক্রবার ভোরে গ্রামে চারটি সামরিক ট্রাক সৈন্যদের নামিয়ে দেয়। জান্তার বিরোধিতা করার জন্য গঠিত স্থানীয় জনতা প্রতিরক্ষা বাহিনীর যুবকরা সৈন্যদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সেখানে অবস্থান নিয়েছিল। তবে, তাদের কাছে কেবল দেশীয় অস্ত্র ছিল এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ভারী অস্ত্রের সামনে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। সংঘর্ষের পর মোট ২৫টি মৃতদেহ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা টেলিফোনে জানিয়েছেন।
বিবিসি বার্মিজ পরিষেবার ওয়েবসাইট এবং থান লুইন খেত নিউজ সার্ভিসের প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়েছে। তবে রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে নিহতের সংখ্যা যাচাই করতে সক্ষম হয়নি। ডিপায়িন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, তদের ১৮ সদস্য নিহত হয়েছে এবং ১১ জন আহত হয়েছে।
চলমান সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে সহিংসতায় ২৩০,০০০ এরও বেশি লোককে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এছাড়া অভ্যুত্থানের পর থেকে সুরক্ষা বাহিনীর হাতে ৮৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ৫,২০০ এরও বেশি মানুষ আটক রয়েছেন।
তথ্যসূত্র: আরটিভি
এস সি/০৪ জুলাই