দক্ষিণ এশিয়া

ভারতে অক্টোবর-নভেম্বরের মাঝামাঝিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ চূড়ায় পৌঁছাবে

নয়াদিল্লী, ০৪ জুলাই- ভারতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ অক্টোবর-নভেম্বরের মাঝামাঝি তীব্র হতে পারে। তবে তা দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ অর্ধেক হতে পারে বলে ধারণা করছেন করোনাভাইরাসের মডেলিং নিয়ে কাজ করা সরকারি প্যানেলের একজন বিজ্ঞানী।

তিনি বলেছেন, যদি কোনো নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসে তাহলে হয়তো তৃতীয় ঢেউতেও সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়াবে।

সূত্র মডেল বা করোনাভাইরাসের ট্র্যাজেক্টরির গাণিতিক প্রক্ষেপণ নিয়ে কর্মরত বিজ্ঞানী মনিন্দ্র আগারওয়াল বলেন, এই মডেলের তিনটি চিত্র আছে, আশাবাদী, মধ্যবর্তী এবং হতাশাবাদী। সেখান থেকেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত বছর গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে করোনার প্রাদুর্ভাবের পূর্বাভাস জানার জন্যই এই প্যানেল গড়ে তুলেছিলো দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঠিক গতিপ্রকৃতি পূর্বাভাস না করতে পারায় বেশ সমালোচনার মুখেও পড়ে এই প্যানেল।

তিনজনের ওই প্যানেলের একজন সদস্য আগারওয়াল বলেন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হওয়া, ভ্যাকসিনের প্রভাব ও আরও বৈপ্লবিক ভ্যারিয়েন্টের সম্ভাবনা তৃতীয় ওয়েভের পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হিসেবে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের মডেলিংয়ের সময় এসব করা হয়নি।

“মডেলের আশাবাদী চিত্রে বলা হচ্ছে অগাস্টের মাঝ বরাবর অবস্থা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় চলে যাবে, সেখানে নতুন কোনো মিউট্যান্ট থাকবে না। মধ্যবর্তী চিত্রে, আশাবাদী চিত্রের থেকে ভ্যাকসিন ২০ শতাংশ কম কাযকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর হতাশাবাদী চিত্রে ২৫ শতাংশ বেশি সংক্রামক মিউট্যান্ট অগাস্ট নাগাদ ছড়িয়ে পড়বে।”

তার শেয়ার করা গ্রাফ অনুযায়ী, অগাস্টের মাঝ বরাবর দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হয়ে পড়বে। তৃতীয় ঢেউ তার চূড়ায় পৌঁছাবে অক্টোবর-নভেম্বরের মাঝামাঝি।

হতাশাবাদী চিত্র সঠিক হলে তৃতীয় ঢেউতে সংক্রমণ হবে দেড় লাখ থেকে ২ লাখ। সেটা দ্বিতীয় ঢেউয়ের চূড়ান্ত অবস্থা যখন ছিলো সেই মে মাসের প্রথম সপ্তাহের তুলনায় অর্ধেক। মে মাসের ৭ তারিখে ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৮৮ জন।

তবে ভ্যাকসিন বিতরণ যত বেশি হবে, তৃতীয় বা চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা তত কমবে। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় এখন ভ্যাকসিন বিতরণেই বেশি জোর দিচ্ছে দেশটির সরকার।

সূত্রঃ চ্যানেল আই

Back to top button