ডায়াবেটিসে ভুগছেন? আজই বাদ দিন এই ৬টি ফল আপনার খাদ্যতালিকা থেকে
ডায়াবেটিস হল এক প্রকার দীর্ঘমেয়াদী রোগ, যা সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হয় না। একবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের অত্যন্ত সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সঠিক সময়ে সঠিক খাদ্য পরিমাণ মতো গ্রহণ করা। আমরা সকলেই জানি, ফল স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারি। তবে আপনি কি জানেন, ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু ফল মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে? এমন কিছু ফল আছে যেগুলি ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যাধিক পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। তাহলে জেনে নিন, ডায়াবেটিস রোগীদের কোন কোন ফল এড়িয়ে চলা উচিত।
১) আনারস
মিষ্টি-রসালো আনারস দেখলে, কার না জিভে জল আসে! তবে আপনি হয়তো জানেন না, আনারসে চিনির পরিমাণ উচ্চ থাকে! ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত আনারস খেলে তা ব্লাড সুগার লেভেলের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আনারস বেশি না খাওয়াই ভাল।
২) আম
ফলের রাজা আমকে চোখের সামনে দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল। তবে মনে রাখতে হবে, আমেও কিন্তু চিনির পরিমাণ উচ্চ থাকে। ১০০ গ্রাম আমে প্রায় ১৪ গ্রাম চিনি থাকে, যা রক্তে শর্করার ভারসাম্যকে আরও খারাপ করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এই ফল এড়িয়ে চলাই ভাল।
৩)কলা
কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। তবে কলাতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে এবং কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই ফলটি খুব একটা উপকারি নয়। তবে মাঝেমধ্যে এক-আধটা কলা খাওয়া যেতেই পারে। কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। তবে কলায় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) থাকে।
৪) তরমুজ
তরমুজে ফাইবার এবং ক্যালোরি কম থাকে। এতে GI ভ্যালু হল ৭২ এবং হাফ কাপ তরমুজে প্রায় পাঁচ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকতে পারে। তাই তরমুজ ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি না খাওয়াই ভাল।
৫) আঙুর
আঙুরে ফাইবার, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান থাকলেও, এতে শর্করার পরিমাণও বেশ ভালই থাকে। ৮৫ গ্রাম আঙুরে প্রায় ১৫ গ্রাম পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট থাকতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি এড়িয়ে চলাই ভাল।
৬) সবেদা
প্রতি ১০০ গ্রাম সবেদায় প্রায় ৭ গ্রাম শর্করা থাকতে পারে এবং এর GI ভ্যালু হল ৫৫। এতে কার্বোহাইড্রেট এবং শর্করাও উচ্চ পরিমাণে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকারক হতে পারে।