পাত্র হিসেবে এগিয়ে প্রযুক্তিবান্ধব পুরুষেরা
প্রযুক্তিবান্ধব এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে সক্রিয় পুরুষেরাই পাত্র হিসেবে নারীদের পছন্দের তালিকায় এগিয়ে আছেন। বিয়ে-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট পরিচালিত এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ইন্দো-এশিয়ান বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন এমন নারীদের পছন্দের ওপর হালফ্যাশনের জীবনযাপন ও প্রযুক্তির প্রভাব কতটা, তা জানতে জরিপটি চালায় ভারতের বিয়ে-বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘শাদি ডটকম’। নারীরা সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর কোন বিষয়গুলো লক্ষ করেন, সেসব জানতে চাওয়া হয় এই জরিপে।
পেশা, শিক্ষা বা এ-জাতীয় যোগ্যতা বিচারের বাইরে নারীরা প্রথমেই খেয়াল করেন পুরুষটি প্রযুক্তিবান্ধব কি না। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তাঁরা পুরুষদের ব্যবহার করা বিভিন্ন গেজেট, বিশেষ করে মুঠোফোন এবং এর অনুষঙ্গগুলো খুঁটিয়ে দেখেন। প্রায় ২৭ শতাংশ জানিয়েছেন পুরুষেরা কী ধরনের ঘড়ি ব্যবহার করছেন, তা খেয়াল করেন তাঁরা। আর বাকিরা বলেছেন, তাঁরা পুরুষের জুতোর পছন্দের বিষয়ে গুরুত্ব দেন।
এদিকে, প্রায় ২৮ শতাংশ নারী জানিয়েছেন সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর সামাজিক উপস্থিতি, আচরণ, ধ্যানধারণা বা মানসিকতা বিশ্লেষণের জন্য টুইটার এবং ফেসবুককে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করেন তাঁরা। একজন পুরুষ কতটা জানেন এবং হাল দুনিয়ার খোঁজখবর কতটা রাখেন তা বুঝতে টুইটারে তাঁর সক্রিয়তা যাচাই করতে চান বলে জানিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৪৬ শতাংশ নারী। আর প্রায় ২৬ শতাংশ নারী বলেছেন, একজন পুরুষের ওপর কতটা বিশ্বাস রাখা যায় এবং তিনি কতটা নির্ভরযোগ্য তা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকে তাঁদের কর্মকাণ্ড বিচার করতে চান তাঁরা।
পুরুষেরা খাবারের ছবি তুলে তা ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে আপলোড করলে তা দেখে বিরক্ত হন বলে জানিয়েছেন প্রায় ৩৬ শতাংশ নারী। কথা বলার সময় টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে থাকা পছন্দ করেন না প্রায় ৩৪ শতাংশ নারী। আর আলাপচারিতার সময় বারবার মুঠোফোনে নজর বোলাতে থাকেন এমন পুরুষদেরও পছন্দ নয় প্রায় ২৯ শতাংশ নারীরই।
জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘শাদি ডটকমের’ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গৌরব রক্ষিত জানিয়েছেন, আজকাল নারীরা পাত্র পছন্দের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলোর ওপর জোর দিচ্ছেন এবং তাঁদের আগ্রহের বিষয়গুলো কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে ধারাবাহিক গবেষণার অংশ হিসেবেই এ জরিপ চালিয়েছেন তাঁরা।
এম ইউ