দক্ষিণ এশিয়া

আফগানিস্তানে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২০ তালেবান নিহত

কাবুল, ০৩ জুলাই – আফগানিস্তানে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২০ তালেবান সদস্য নিহত হয়েছে। শনিবার দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বাদাখশানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া প্রদেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টার সংঘাতে অন্তত তিনজন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে বাদাখশানের সেনা ক্যাপটেন আবদুল রাজাক।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় জানায়, তালেবান যোদ্ধারা গত ২৪ ঘণ্টায় বাদাখশানের তাগাব, কিশিম, তাশকান ও শাহর-ই-বুজার্গ জেলা দখলে করে নিয়েছে। এর আগে ১ জুলাই পর্যন্ত তালেবানের দখলে ছিল আফগানিস্তানের ১শ’র বেশি জেলা। যা উদ্ধারে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তানের নিরাপত্তাবাহিনী।

এদিকে গত ১ জুলাই রাতে আফগানিস্তানের বাদাখশান ও উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশে তালেবানের হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল সাধারণ মানুষ। তবে কয়েকজন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য ও তালেবানা যোদ্ধাও ছিল নিহতের তালিকায়।

এদিকে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার হচ্ছে অন্যদিকে নিজেদের পেশিশক্তি বাড়াচ্ছে তালেবান। দখল করে নিচ্ছে দেশটির একের পর এক জেলা। এখন পর্যন্ত ১শ’র বেশি জেলা নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবানরা।

২ জুলাই প্রায় দুই দশক পর আফগানিস্তানে নিজেদের প্রধান সামরিক ঘাঁটি থেকে বিদায় নিল যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনারা। তারা বাগরাম বিমান ঘাঁটি খালি করে দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীর সব সদস্য বাগরাম বিমান ঘাঁটি ছেড়ে গেছে।

কাবুল থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই ঘাঁটি থেকেই আফগানিস্তানে সকল বিমান হামলা ও কৌশলগত কার্যক্রম পরিচালনা করতো মার্কিন সামরিক বাহিনী। ঘাঁটিটি এবার আফগান সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন থেকে যার নেতৃত্ব দেবে আফগান বাহিনী।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারসহ তালেবানের আরও দুটি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় তিন হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এই হামলার জন্য আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয়। এরপর থেকে আফগানিস্তানে হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সাল থেকে চলা যুদ্ধ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজারের বেশি আফগান সেনা ও পুলিশ নিহত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ। এছাড়া আরও প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিদেশি সেনা নিহত হয়েছেন।

এ অবস্থায় সম্প্রতি আফগানিস্তান যুদ্ধে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, ৯/১১ হামলার দুই দশকপূর্তির আগেই আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সকল মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে।

তথ্যসূত্র: জগো নিউজ
এস সি/০৩ জুলাই

Back to top button