আইন-আদালত

বাংলাদেশে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় কেউ কোনো ফল পেয়েছে কী?

আশিক আহমেদ

ঢাকা, ০৩ জুলাই – প্রতিদিনই আত্মহত্যার খবর শোনা যায়। কেউ গলায় ফাঁস দিয়ে, কেউ বিষ পান করে আত্মহত্যা করে, আবার কেউ নদীতে কিংবা ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় সাধারণত থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে শোকাহত স্বজনরা আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলাও করেন।

অপমৃত্যু মামলায় পুলিশ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে আদালতে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তাদের দায়িত্ব শেষ করে। তবে প্ররোচনা মামলা অন্য ফৌজদারি মামলার মতো তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ করতে হয় পুলিশকে। আদালতে প্রমাণিত হলে আসামির শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে বাংলাদেশে।

তবে দেশে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় সাজার নজির খুব একটা নেই বলে জানান আইনজীবীরা। দু-একটা থাকতে পারে, তবে সে ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

আইনজীবীরা জানান, দেশের বেশির ভাগ আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা হয়ে থাকে মূলত স্বজনদের ক্ষোভ ও আবেগ থেকে। আইনি পরিভাষায় এগুলো ‘কসমেটিক মামলা’। এসব মামলা শেষ পর‌্যন্ত আদালতে প্রমাণিত হয় না।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ননি্নিন আত্মহত্যা মামলার খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রায় সব কটি মামলার বিচার ঝুলে আছে বছরের পর বছর। কোনো মামলারই কোনো বিচার সম্পন্ন হয়নি। কারও শাস্তির কথাও জানা যায়নি।

রাজধানীর আলোচিত দুটি আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলা থেকে দেখা যায় গত ১১ বছর ধরে ঝুলে আছে মামলাগুলো। আর অতিসাম্প্রতিক ভিকারুননিসার ছাত্রী অরিত্রী আত্মহত্যা মামলার বিচারকাজ চলছে।

বাংলাদেশের আইনে আত্মহত্যায় প্ররোচনা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই। তবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৯ক ধারায় বলা আছে- যদি কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তি তার কার্য দ্বারা সম্ভ্রমহানি করে এবং তার জন্য ওই নারী আত্মহত্যা করে তাহলে অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্ত নারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য অভিযুক্ত হবে।

আত্মহত্যায় প্ররোচনার শাস্তি

আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৩০৬ ধারায় বলা আছে- আত্মহত্যায় প্ররোচনায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা। তবে কারও প্ররোচনায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেও যদি কেউ মারা না যায় তাহলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দানকারীকে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। তবে অবশ্যই তা প্রমাণ সাপেক্ষে।

বাংলাদেশের প্রচলিত সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-এর ৩২ ধারা অনুযায়ী আত্মহত্যাকারীর রেখে যাওয়া সুইসাইড নোট প্ররোচনা দানকারীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হবে। তবে শুধু একটি সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে কাউকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। সুইসাইড নোটের সমর্থনে আরও সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে হবে।

বাংলাদেশে আত্মহত্যা প্ররোচনার প্রেক্ষাপটে তিনটি মামলার হালহকিকত দেখা যেতে পারে।

১১ বছরেও শেষ হয়নি পিংকি আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা

২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি শ্যামলী আডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী নাশফিয়া আখন্দ পিংকির (১৪) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় প্রতিবেশী মুরাদ মৃধা ও বাড়ির কেয়ারটেকার আবুল কালামকে। ঘটনার এক বছরের মাথায় গ্রেপ্তার দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। বর্তমানে ঢাকার শিশু ও নারী নির্যাতন আদালত-৩-এ মামলাটি বিচারাধীন। পিংকির পরিবারের অভিযোগ, আদালতের দীর্ঘসূত্রতার কারণে ১১ বছরেও বিচার শেষ হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ পর্যন্ত চারবার আদালত পরিবর্তন হয়েছে এই মামলার। প্রথমে ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে, পরবর্তী সময়ে মহানগর দায়রা জজ আদলত ও তৃতীয় দফায় ঢাকার শিশু ও নারী নির্যাতন আদালত-৪ থেকে মামলাটি স্থানান্তর করা হয় ৩-এ। মামলাটি এখন এই আদালতে বিচারাধীন।

ঢাকার শিশু ও নারী নির্যাতন আদালত-৪-এর পিপি ফোরকান আলী বলেন, করোনার কারণে এখন কোর্ট বন্ধ। কোর্ট না খুললে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবোনা।

কী ঘটেছিল সেদিন

ঘটনার দিন বাসায় ছোট দুই ভাই-বোনের সঙ্গে ছিল পিংকি। মা মারা গেছেন দশ বছর আগে। দাদি ছিলেন বাসার বাইরে। এরই মধ্যে বাচ্চাদের সঙ্গে খেলার সময় হাত কেটে যায় পিংকির। কাটা হাতের চিকিৎসা করাতে বাসার পাশে ফার্মেসিতে যাওয়ার পথে দেখা হয় প্রতিবেশী মুরাদের সঙ্গে। এ সময় দুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পিংকিকে থাপ্পড় মারে মুরাদ। এরপর বাসায় ফিরে আসে পিংকি। পরে নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পড়ার টেবিলে একটি চিরকুট পাওয়া যায়, দাদিকে উদ্দেশ করে লেখা।

এতে লিখা ছিল, ‘দাদি, আমি লিমান-লিমিনের সাথে শয়তানি করতে গিয়ে হাত কাটছিলাম। এর জন্য মুরাদ সবার সামনে আমারে থাপড় মারছে, সবাই তা নিয়ে হাসাহাসি করতাছে। আমার জন্য যাতে তোমাদের মান-সম্মান না যায় তার জন্য আমি ফাঁসি দিলাম। আমার মৃত্যুর জন্য আমার পরিবারের কেউ দায়ী না।’

এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে প্রতিবেশী মুরাদ ও পিংকিদের বাসার কেয়ারটেকার আবুল কালামকে আসামি করে মামলা করেন পিংকির চাচা আলী আশরাফ আখন্দ। পিংকির পরিবারের দাবি, মুরাদ প্রায়ই পিংকিকে বিরক্ত করতো। তার কারণেই পিংকি আত্মহত্যা করে। পিংকি কখন কী করছে, তা মুরাদকে জানাত কেয়ারটেকার আবুল কালাম।

পিংকি আত্মহত্যার পরই পালিয়ে যায় মুরাদ মৃধা। ঘটনার চার দিন পর খুলনার খালিশপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুরাদ পুলিশের কাছে দাবি করে, পিংকির সঙ্গে তার ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল।

জুরাইনের রিতার মামলার বয়সও ১১

রাজধানীর জুরাইনে দুই শিশু সন্তানসহ গৃহবধূ রীতার আত্মহত্যা মামলার বিচারকাজও ঝুলে আছে দীর্ঘদিন ধরে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে বিচারিক আদালত মামলাটির বিচারকাজ করতে পারছেন না।

২০১০ সালের ১০ জুন দিবাগত রাতে রীতা, তার ছেলে প্লাবন ও মেয়ে পায়েল ২২৯ আলমবাগ নতুন জুরাইনের সোনারতরী নামের ভবনে আত্মহত্যা করে। ওই ঘটনায় পরদিন রীতার মা মাজেদা বেগম একটি মামলা করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান মামলা তদন্ত করে ওই বছরের ১১ আগস্ট রীতার স্বামী রাশেদুল কবির ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা স্মৃতিসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে অপর আসামিরা হলেন রীতার শ্বশুর সাংবাদিক শফিকুল কবির, শাশুড়ি নূরবানু, ননদ কবিতা কবির, সুখন কবির, কবিতার স্বামী দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারি, ফার্মেসি মালিক আব্দুল গফফার এবং রীতার ড্রাইভার আল আমিন।

এরপর ২০১১ সালের ২২ মে মামলায় রাশেদুল কবির ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা স্মৃতিসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর তৎকালীন বিচারক মো. মোজাম্মেল হোসেন।

অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন রীতার ননদ কবিতা কবিরের স্বামী দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী এবং রীতার ড্রাইভার আল আমিন।

একই সঙ্গে আদালত রীতার শ্বশুর সাংবাদিক শফিকুল কবির, শাশুড়ি নূরবানুসহ পাঁচজনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। অব্যাহতি পাওয়া অপর তিনজন হলেন, রীতার ননদ কবিতা কবির, সুখন কবির এবং ফার্মেসির মালিক আব্দুল গফফার।

আসামি রাশেদুল কবির, তার স্ত্রী স্মৃতিসহ চারজনের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন। উক্ত আবেদনে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

মামলাটি সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু হাইকোর্ট মামলাটির স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। এজন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার পরবর্তী শুনানির তারিখ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন।

মামলা স্থগিত সম্পর্কে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাশেদ বলেন, ‘হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে তাই এই আদেশ বলবত থাকা অবস্থায় মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।’

এদিকে এ মামলার অভিযুক্ত চার আসামির মধ্যে তিনজন জামিনে আছেন। আর রীতার ড্রাইভার আল আমিন জামিনে গিয়ে পালিয়েছেন। আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অন্যদিকে রীতার শ্বশুর সাংবাদিক শফিকুল কবির মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

রীতা আত্মহত্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারে তার মা মাজেদা বেগম অভিযোগ করেন, প্রায় ১০ বছর আগে রীতার শ্বশুরবাড়িতে স্মৃতি কাজ করতে আসে। স্মৃতির সঙ্গে রাশেদুলের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রীতা ২০০৮ সালের ৮ আগস্ট রাশেদুল ও স্মৃতির বিয়ের কথা জানতে পারে। কিন্তু তারা এটা অস্বীকার করে। এ নিয়ে রীতা ও রাশেদুলের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়।

রাশেদুল প্রায় প্রতি রাতে বাইরে থাকত। রাশেদুল একদিন রীতাকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলে, অন্যথায় তাকে তালাকের হুমকি দেয়। রীতা মে মাসে তার মায়ের বাসায় চলে যান। রীতা আসার আগে আসামিরা রীতার কাছ থেকে জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে দেয়। এরপর ২০১০ সালের ১০ জুন দিবাগত রাতে রীতা তার ছেলে প্লাবন ও মেয়ে পায়েলকে নিয়ে নতুন জুরাইনের সোনারতরী ভবনে আত্মহত্যা করে।

ভিকারুননিসার অরিত্রী আত্মহত্যা মামলা

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ তারিখ ধার্য করেন।

গত ২৪ জুন আদালত এ তারিখ ধার্য করেন। এর আগে গত ৮ এপ্রিল মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য থাকলেও করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে তা বন্ধ ছিল। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিনাত আক্তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

এর আগে ওই বছরের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষিক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।

২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যায় ঘটনায় পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে- এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে ডেকে নেওয়া হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের করে দেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার বিচার ও শাস্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় বিচারিক আদালতে দুই-একটির সাজা হয়েছে। তবে আপিল বিভাগে সাজা হয়েছে বলে মনে পড়ে না। আর গত ১০-১৫ বছরে যেসব মামলা হয়েছে এর অধিকাংশ মামলাই কসমেটিক মামলা।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক বিরোধে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। মিডিয়ায় প্রচার-প্রচারণার জেরে একটি মামলা হলো।

‘অথবা কেউ ফেইসবুকে কিছু একটা লিখেছে, সেটা দেখে কেউ একজন শকড হয়ে আত্মহত্যা করল। হয়ে গেল একটি মামলা। এসব মামলায় সাধারণত প্রথম দিকে আসামি জেলে যায়। কিছুদিন জেল খাটে। তারপর মামলা শেষ হয়ে যায়। এই যে জেলে গেল এটাই তার সাজা।’

তবে দু-একটা মামলার বাস্তবতা যে থাকে না তা নয়। এ কথা উল্লেখ করে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘তবে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে এটা প্রমাণ করতে হবে। বাংলাদেশের আইনে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় সাজার কথা বলা হয়েছে। তবে সেটা আদালতে প্রমাণ করতে হবে।’

সূত্র : ঢাকাটাইমস
এন এইচ, ০৩ জুলাই

Back to top button