সরকার রাজ্যের মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে দাবি ইন্দুবালার
কলকাতা, ০৩ জুলাই – বিজেপির দাবি রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। যা নিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করল বিজেপির মহিলা মোর্চা। মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভায় সাংসদ ইন্দুবালা গোম্বামী অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে।
বিক্ষোভ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
বিজেপির মহিলা মোর্চার তরফে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আক্রমণ শানিয়ে সাংসদ ইন্দুবালা গোম্বামী বলেছেন, তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরতে সক্ষম হলেো, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিজে নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। রাজ্যে মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
রাজ্য সরকারকে নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হাইকোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হওয়া জনস্বার্থ মামলায় আদালতের তরফ থেকে রাজ্য পুলিশকে দেওয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নথিভুক্ত করতে। এছাড়াও মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তিনি যেন ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত নথি তৈরি রাখেন। এছাড়াও আদালতের তরফ থেকে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দ্বিতীয় ময়না তদন্ত যাতে কমান্ড হাসপাতালে করা হয়, সেই ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে ১৮ জুন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারমার্সন এইচএল দত্তুকে কমিটি তৈরি করে ভোট পরবর্তী হিংসা সম্পর্তিক অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে বলেছিল। ২১ জন আইবির প্রাক্তন প্রধান রাজীব জৈনের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। গত ২৯ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যাদবপুরে তদন্তে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। কমিশনের তরফে জানানো হয়, সেখানে অন্তত ৪০ টি বাড়িতে হামলা করে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ
২ মে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী বিশেষ করে বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ব্যাপক হারে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বাড়িতে পাথর, বোমা নিয়ে হামলা ছাড়াও বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির প্রার্থীরাও। একদিকে রাজ্যপাল যেমন কোচবিহার ও পূর্ব মেদিনীপুরে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন, অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও গিয়েছেন আক্রান্তদের বাড়িতে। বিজেপির তরফ থেকে হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া
এস সি/০৩ জুলাই