প্রকাশ্যে দর্জিকে চড় মারলেন বরগুনা সদর থানার ওসি!
বরগুনা, ২০ অক্টোবর- তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেলিম খান নামে এক দর্জিকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা শহরের বঙ্গবন্ধু রোডের গ্রামীণ বস্ত্রালয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
গ্রামীণ বস্ত্রালয়ের মালিক নজরুল ইসলাম জানান, তার দোকানে দীর্ঘদিন থেকে সেলিম খান দর্জির কাজ করে আসছেন। ঘটনার দিন ওসি তারিকুল ইসলাম বালিশ তৈরিকে কেন্দ্র করে পুলিশের একজন এসআইকে সঙ্গে নিয়ে ওই রোডের পশ্চিম প্রান্ত থেকে গালাগাল দিতে দিতে আমার দোকান গ্রামীণ বস্ত্রালয়ের সামনে এসে দাঁড়ান এবং বরগুনা শহরের টেইলার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম খানকে চড় মারে। এ সময় তার চেয়ার ছুঁড়ে এবং সেলাই মেশিন ও সামনে রাখা মটর সাইকেল ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওসি আমাকেও জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এ ঘটনার সময় তিনি (ওসি) নিজেকে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ করে ওসিগিরি করতে এসেছি বলে দাবি করেন। এরপর কে কে দোকানদারী করে; সেটাও আমি দেখে নেবো বলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।’
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের সব বস্ত্র ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনবেন বলে বরগুনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীরের দেওয়া আশ্বাসে এক ঘণ্টা পরে আবার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়।
তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, চাঁদর, দুটো বালিশের কভার, দুটো কোল বালিশের কভার অর্ডার করেছিলেন। একজন এসআইকে পাঠিয়ে পরে আরও একটি কভার চাওয়া হলে ওই ব্যক্তি তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ফাঁসানোর জন্য মূলত তারা এ ধরনের অভিযোগ করছেন বলে দাবি করেন তিনি।
সূত্র: আমাদের সময়
আর/০৮:১৪/২০ অক্টোবর