সিরাজগঞ্জ

যমুনার পানি বৃদ্ধিতে বাড়ছে নদী ভাঙ্গন সিরাজগঞ্জে

সিরাজগঞ্জ, ০৩ জুলাই- উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা। এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কাজিপুর, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন।

শনিবার (৩ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ আরটিভিকে নিউজকে বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১.২৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র স্রোতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে শহর রক্ষা বাঁধ এলাকার বিভিন্ন স্থানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে।

যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়ছে এসব এলাকার অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে এ সকল এলাকার বীজতলা, সবজি বাগান, পাট ও তিলক্ষেত।

চৌহালীর বিনাইন গ্রামের শফিকুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, ভাঙনের কারণে আমরা ঘরবাড়ি সরানোর কাজে ব্যাস্ত। গতবছরে ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি সরিয়ে এনে এখনো ঠিকভাবে দাঁড় করাতে পারেনি, আবারও ভাঙ্গনে সরিয়ে নিতে হচ্ছে। রাক্ষুসি যমুনা চোখের সামনে সবকিছু গ্রাস করে নিচ্ছে।

একই গ্রামের শাহাবুদ্দিন আরটিভি নিউজকে বলেন, ইতিমধ্যেই অন্তত ১৫টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। আরও অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কমিউনিটি ক্লিনিক ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। তবুও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেখা পাচ্ছি না। বাঁধ নির্মাণের কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।

চৌহালী উপজেলার ভাঙনরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, বিনাইন এলাকায় ভাঙন রোধে দ্রুতই ব্যাবস্থা নেয়া হবে। চৌহালী দক্ষিণ এলাকা রক্ষায় ৪৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি নির্মাণ করা গেলে এই এলাকায় আর ভাঙ্গন থাকবে না।

সূত্রঃ আরটিভি

Back to top button