সাজ-সজ্জা

শোবার ঘরটি হয়ে উঠুক প্রশান্তির জায়গা

সারাদিন হরেক রকমের কাজকর্ম করে ক্লান্ত হতে দিন শেষে কোথায় আসেন? নিঃসন্দেহে নিজের শোবার ঘরে। এবং সত্যি বলতে কি, একটি সুন্দর পরিপাটি শোবার ঘর আপনার দিন যাপনের ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে নিমিষেই। শোবার ঘর কেবল রাতে ঘুমানোর জন্যই নয়, বরং এই ঘরটি আপনার একান্ত ব্যক্তিগত এক টুকরো পৃথিবী। এই একান্ত দুনিয়াকে প্রশান্তির জায়গা করে তুলতে আজ রইলো ১০টি দারুণ টিপস।

১) শোবার ঘর বেছে নেয়ার সব বাড়ির সবচাইতে বড় ঘরটিকেই বেছে নিন। সাথে ছোট্ট এক ফালি বারান্দা থাকলে আরও ভালো।

২) শোবার ঘরের সাথে বারান্দা থাকলে অবশ্যই সেটাকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখুন। কিছু সুন্দর ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে পারেন, বেতের চেয়ার বা মাদুর পেটে হতে পারে বসার ব্যবস্থা।

৩) শোবার ঘরে অবশ্যই ব্যবহার করুন নরম আলো। সাথে সুন্দর সুন্দর ল্যাম্প শেডও ব্যবহার করতে পারেন। চলতে পারে সুন্দর টেবিল ল্যাম্প। বেশি কড়া আলো শোবার ঘরের পরিবেশ নষ্ট করে দেবে।

৪) শোবার ঘরের জন্য বেছে নিন হালকা রঙের পেইন্ট। দেয়ালে মিষ্টি কোন রঙ ব্যবহার করুন, সেটার সাথে মিলিয়ে ব্যবহার করুন পর্দা ও বেড শিট। দেখবেন আপনা থেকেই প্রশান্তিময় হয়ে উঠেছে শোবার ঘরটি।

৫) মেঝেতে ভালো কার্পেট বা সুন্দর সুন্দর ম্যাট ব্যবহার করুন।

৬) চেষ্টা করুন শোবার ঘরেই ছোট ছোট ২/১ টি গাছ রাখতে। এই গাছগুলো আপনাদের তাজা অক্সিজেন যোগাবে। শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে। সুস্থ থাকবেন আপনি।

৭) টেলিভিশন শোবার ঘরে রাখার ভুলটি আমরা সবাই করে থাকি। এতে যে কেবল ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তাই নয়। আপনার মানসিক শান্তিও বিঘ্নিত হয়। টিভি বাদ দিয়ে বরং গান শোনার ব্যবস্থা রাখুন।

৮) শোবার ঘরে এক গাদা আসবাব রাখবেন না। যেটুকু প্রয়োজন কেবল তাই রাখুন। একটি সুন্দর আয়না শোবার ঘরের শোভা বাড়াবে।

৯) উইন্ড চাইম, ঘণ্টা, সুন্দর ছবি, নকশাদার পর্দা ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন শোবার ঘরের সজ্জায়। সাথে রঙ বেরঙের কুশন তো চলতেই পারে।

১০) শোবার ঘরের সাথে টয়লেট থাকলে সেটাকে সবসময় পরিষ্কার রাখুন। আর ঘরে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করুন।

এম ইউ

Back to top button