ইউরোপ

জার্মানিতে বর্তমানে প্রতি চারজনের একজনের ‘মাইগ্রেশন ব্যাকগ্রাউন্ড’ রয়েছে

বার্লিন, ০২ জুলাই – জার্মানিতে বর্তমানে প্রতি চারজনের একজনের ‘মাইগ্রেশন ব্যাকগ্রাউন্ড’ রয়েছে। বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে বিদেশে শেকড় থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে ‘ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন রিসার্চ’৷

জার্মানিতে বসবাসকারী বিদেশি শেকড়ের মানুষের অনুপাত ২০০৯ সালের ১৮.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২৬ শতাংশে।

মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে জার্মান ভিত্তিক সংস্থা ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন রিসার্চ বা বিআইবি। সংস্থাটির মতে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিকের আগমন এবং সংকটপূর্ণ অঞ্চল থেকে শরণার্থী আসা এর মূল কারণ।
বিআইবি-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জার্মানির ব্রেমেনে ৩৬.৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীর অভিবাসন ইতিহাস রয়েছে। ট্যুরিঙ্গিয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৭.৮ শতাংশ। তবে জার্মানির পূর্বাংশের রাজ্যেগুলোতে সে অনুপাত বেশি নয়।

অন্যদিকে, হামবুর্গে অভিবাসীদের অনুপাত ৩৩.৯ শতাংশ এবং বার্লিনে ৩৩.১ শতাংশ। বিআইবির তথ্য মতে, বড় শহরগুলোতে নতুন অভিবাসী বেশি আসায় ছোট শহরগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে বড় শহর এবং রাজ্যগুলোতে মাইগ্রেশন ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষের সংখ্যাও এখন বেশি। জার্মানির হেসেন এবং বাডেন ভুর্টেমব্যাগের মতো অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাজ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থা থাকায় সেখানে মাইগ্রেশন ব্যাকগ্রাউন্ডের সংখ্যাও বেশি। হেসেন রাজ্যে এই সংখ্যা ৩৪.৪ শতাংশ এবং বাডেন ভুর্টেমব্যাগে ৩৩.৮ শতাংশ।

পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায়, জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি হারে বিদেশি এসেছে ৫০ থেকে ৭০ এর দশকে পরিবারসহ অতিথি শ্রমিক হিসেবে।

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এস সি/০২ জুলাই

Back to top button