বিচিত্রতা

একই কোম্পানিতে একই বেতনের চাকরি পেলেন দুই যমজ

একই কোম্পানিতে সমপরিমাণ বেতনে চাকরি পেলেন যমজ ইঞ্জিনিয়ার ভাই। তারা স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে।

এ দুই যমজের নাম সপ্তর্ষি মজুমদার ও রাজর্ষি মজুমদার। ভারতের পশ্চিবঙ্গের বর্ধমান জেলার বাসিন্দা তারা। তবে ঝাড়খণ্ডে বেড়ে উঠেছেন। সেখানেই পড়াশোনা করেছেন তারা।

বলা হচ্ছে— কোনো শিক্ষার্থীর ভাগ্যে শুরুতেই এত বেতনের চাকরি জুটেনি। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ওই রাজ্যের কেউ এত বেতনের চাকরি কখনও পায়নি। ২২ বছর বয়সেই এমন চাকরি পেলে গেলেন ভাতৃদ্বয়।

এ ঘটনায় ভারতজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে এ দুই ভাইকে নিয়ে।

সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ প্রকাশ, অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন সপ্তর্ষি ও রাজর্ষি। তাদের ফল দেখে ইন্টারভিউ নেয় গুগল জাপানের একটি অংশীদারি সংস্থা পিভিপি ইনকরপোরেশন।

যমজদের পছন্দ হয়ে যায় পিভিপির কর্মকর্তাদের। দুই ভাইকে বার্ষিক ৫০ লাখ রুপি বেতনে চাকরির প্রস্তাব দেয়। সিদ্ধান্ত নিতে মোটেই দেরি করেননি সপ্তর্ষি ও রাজর্ষি। বিনা দ্বিধায় হ্যাঁ বলে দেন দুজনই।

অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে স্নাতক লাভ করা কোনো শিক্ষার্থীর জন্য এটিই সর্বাধিক বেতনের চাকরি। এর আগে ওই রাজ্য থেকে পড়াশোনা করে ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টে এত টাকার চাকরি কখনও পায়নি।

যমজ ভাইদের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ দুই যমজ কৃতী ভাইকে সংবর্ধনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। দুজনকে দুই লাখ রুপি করে দিয়েছেন উপাচার্য।

সর্বাধিক বেতনে চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবর্ধনার বিষয়ে দুই ভাই বলেন, আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, একসঙ্গে স্কুলে গেছি। আমাদের ভাবনা চিন্তাও একরকম। সবসময় চেয়েছিলাম, যাতে এক জায়গায় কাজ করি। সেটি অর্জন করতে পেরেছি।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে তারা জানান, এখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে একসঙ্গে বিদেশে পাড়ি জমাবেন তারা। সেখানেও একসঙ্গেই থাকবেন।

বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা থেকেই ঝাড়খণ্ডে থাকছেন সপ্তর্ষি ও রাজর্ষি। বোকারো স্টিল সিটি ও পরে দেওঘরের স্কুলে হাতেখড়ি হয় তাদের। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে হায়দরাবাদের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হন দুজনে।

এন এইচ, ০২ জুলাই

Back to top button