চট্টগ্রাম

কঠোর লকডাউনে অ্যাম্বুলেন্সে করে বিয়েতে, চেকপোস্টে পুলিশের হাতে ধরা

চট্টগ্রাম, ০২ জুলাই – সারাদেশে চলছে সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ)। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেকোনো ধরনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। কিন্তু চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানা এলাকার কিছু মানুষের বিয়েতে যাওয়া প্রয়োজন। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে তারা নেন বিশেষ কৌশলের আশ্রয়। ভাড়া করেন একটি অ্যাম্বুলেন্স।

কিন্তু সেই অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রওনা দেয়ার মাত্র এক কিলোমিটার সামনেই পড়লেন পুলিশি তল্লাশির মুখে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে চালক বললেন অ্যাম্বুলেন্স হলেও গাড়িতে কোনো রোগী নেই। পরে গাড়িটিকে মামলা দিয়ে ছেড়ে দেন দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট শাহেদুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনাটি নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট মোড়ের।

পুলিশ জানায়, চকবাজার থানার মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার থেকে একদল লোক বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় একটি বিয়েতে যাচ্ছিলেন। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে তারা একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন। কিন্তু গাড়িতে ৮-৯ জন যাত্রী দেখায় সন্দেহ হয় ওই চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের। সঙ্গে সঙ্গে থামানোর সঙ্কেত দেয়া হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, যাত্রী নিয়ে নতুন ব্রিজ যাচ্ছিলেন।

জানতে চাইলে দায়িত্বরত সার্জেন্ট শাহেদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘নিয়মিত চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছিল। একপর্যায়ে যাত্রী পরিবহন করা অ্যাম্বুলেন্সটি ধরা পড়ে। পরে মামলা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আজ (বৃহস্পতিবার) ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরি সেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকবে। গণমাধ্যমসহ কিছু জরুরি সেবা এ বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে বলে জানানো হয়।

বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শনসাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবেন।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে যারা চলাচল করতে পারবেন তারা হলেন- আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন।

সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/০২ জুলাই ২০২১

Back to top button