ইসলাম

হারাম পন্থায় উপার্জিত সম্পদ থেকে দান-সাদাকাহ করলে তা কবুল হবে কী?

আমরা সবাই ভালো, সুন্দর ও নিখুঁত জিনিসই চাই। কারণ তা মন্দ থেকে অধিক উপকারী। তেমনি আল্লাহ তায়ালা আমাদের কাছ থেকেও উত্তম জিনিসই পছন্দ করেন। আল্লাহ তায়ালা চান, আমরা যেন ভেজাল জিনিস না খাই, পরিধান না করি এবং উপার্জন না করি। অথচ আমরা রাত-দিন কষ্ট করে হারাম উপার্জন করছি এবং সমত্মানদের জন্য রেখে যাচ্ছি। নবী (সা.) বলেছেন, ‘কোনো বান্দা হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে, তা থেকে দান-সদকা করলে আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না এবং তা থেকে ব্যয় করলে বরকত হবে না। এবং এ ধন-সম্পত্তি তার উত্তরাধিকারীর জন্য রেখে গেলে তা তার জন্য হবে দোজখের পুঁজি।’

আসলে আজ আমাদের মাঝ থেকে ঈমানের আলো, আখেরাতের ভয় ও আল্লাহর ভয়- সব যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। আমরা সামনে যা পাই, তা নিজের ভাবি। হারাম-হালাল বিচার করে চলি না, যার কারণে আমাদের দোয়া ও নামাজ কবুল হচ্ছে না। যেমন- আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ১০ দিরহাম দ্বারা একটি কাপড় ক্রয় করল, যার মধ্যে এক দিরহাম হারাম ছিল, তাহলে যতক্ষণ পর্যমত্ম ওই কাপড়টি তার পরনে থাকবে ততক্ষণ আল্লাহ তায়ালা তার নামাজ কবুল করবেন না।’ (মেশকাত : ২৪৩)।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে ভালোবাসা ইবাদতের অংশবিশেষ

এখন একটি চিমত্মা করে দেখি আমাদের রক্ত, মাংস, কাপড় সব ক্ষেত্রে কতটুকু বৈধতার পথ অবলম্বন করতে পারছি আমরা। কীভাবে আমাদের নামাজ কবুল হবে? আলেমরা বলেন, এখানে নামাজ আদায় হয়ে যাবে, তবে সওয়াব কম হবে। আজ চারদিকে তাকালে এমন পরিস্থিতি দেখা যায় যে, হারাম বলতে মনে হয় কিছু নেই। নিষেধ বলতে কোনো শব্দ নেই। মন্দ বলতে কোনো বাক্য নেই। তাহলে কি আমরা সেই যুগে উপনীত, যার কথা নবী (সা.) ১ হাজার ৪০০ বছর আগে বলে গিয়েছেন।

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মানুষের সামনে এমন একটি যুগ আসবে, যখন মানুষ এদিকে ভ্রম্নক্ষেপ করবে না যে, সে যা গ্রহণ করছে তা কি হারাম না হালাল।’ (বোখারি)।

আমাদের জন্য কর্তব্য হলো, হালাল উপার্জন করা। নবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি কখনও নিজের হাতের উপার্জনের চেয়ে উত্তম কোনো খাবার খায়নি।’ হজরত দাউদ (আ.) নিজ হাতের কামাই থেকেই খেতেন। (বোখারি)।

এন এইচ, ২০ অক্টোবর

Back to top button