নেশাগ্রস্ত হয়ে ইজিবাইক ছিনতাই করে চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
নারায়ণগঞ্জ, ০২ জুলাই- নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চালক রাজা মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর তার ইজিবাইক ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে আদালতে মামুন নামে একজন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালত মামুনের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মামুন কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার উলুহাটি গ্রামের হযরত আলীর ছেলে। বর্তমানে সে ফতুল্লা থানার দেলপাড়া কলেজ রোড গলিতে সপরিবারে বসবাস করে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ইমানুর হোসেন জবানবন্দির বরাত দিয়ে জানান, মামুনসহ ৪ জন শহরের একটি সুইপার কলোনিতে বসে দেশীয় মদপান করে নেশায় বুঁদ হয়ে শহরের চাষাঢ়া থেকে রাজা মিয়ার ইজিবাইক ভাড়া করেন। এর পর ইসদাইরের ওসমান স্টেডিয়ামের গেইটের সামনে এসে রাজা মিয়াকে ইজিবাইক থামাতে বলেন। কথা মতো ইজিবাইক থামালে তারা বাইকের চাবি চায়। এতে রাজা মিয়া চাবি না দেয়ায় তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা শেষে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, মামুনকে বুধবার রাতে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পেশাদার ইজিবাইক ছিনতাইকারী। মদের নেশায় বুঁদ হয়ে ছিনতাই করলে নিজেদের সাহসী মনে হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানিয়েছে। এরআগেও একাধিক চালকের কাছ থেকে তারা ইজিবাইক ছিনিয়ে নিলেও কাউকে হত্যা করেনি। অপর ৩ জনকে গ্রেফতার ও ছিনিয়ে নেয়া ইজিবাইকটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য,২৯ জুন ভোরে ফতুল্লার ইসদাইর ওসমান স্টেডিয়ামের সামনে রাজা মিয়াকে খুন করে তার ইজিবাইক ছিনিয়ে নেয় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের ছোট বোন মোমেনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত রাজা মিয়া গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ির বিশ্রামগাছির মৃত. মবেজ মিয়ার ছেলে। ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় কাজী বাড়ির গলির আবুল হাজীর বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে মোহাম্মদ আলীর গ্যারেজ থেকে ইজিবাইক ভাড়ায় চালাতেন।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর
এস সি/০২ জুলাই