ময়েশ্চারাইজিংয়ে মনে রাখুন
কোমল ত্বকের জাদুকাঠি হলো সঠিক ময়েশ্চারাইজিং। শীতের রুক্ষ আবহাওয়াতে তো বটেই সব ঋতুতেই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে দরকার ত্বকের উপযোগী ময়েশ্চারাইজার। তবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারেরও রয়েছে কিছু নিয়ম-কানুন। রইলো ময়েশ্চারাইজিংয়ের কিছু টিপস।
ময়েশ্চারাইজিংয়ের প্রাথমিক নিয়ম
– ক্লেনজিং, টোনিংয়ের পর ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।
– আঙুলের ডগায় অল্প পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার নিয়ে সার্কুলার মুভমেন্টে ত্বকে লাগান।
– গোসল করার পর ত্বক ভেজা থাকতে থাকতেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
– এসিতে বেশিক্ষণ থাকতে হলে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
– দু হাতের তালুতে অল্প পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার নিয়ে হালকা হাতে ঘষে হাত ও পায়ে মাসাজ করুন।
কোন ত্বকে কেমন ময়েশ্চারাইজার
– স্বাভাবিক ত্বকের জন্য উপযুক্ত ওয়াটার বেজড ময়েশ্চারাইজার আর স্বাভাবিক থেকে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লিক্যুইড ময়েশ্চারাইজার ভালো।
– গ্লিসারিন ও ল্যাক্টিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার শুষ্ক ত্বকের জন্য ভালো।
– ত্বক তৈলাক্ত হলে মিনারেল অয়েল, ভেজিটেবল অয়েলের তৈরি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
– ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
– শুষ্ক প্রকৃতির ত্বকের জন্য দরকার ক্রিম ময়েশ্চারাইজার। গাল থেকে ওপরের দিকে ও থুতনি থেকে গলা পর্যন্ত হালকা হাতে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
মনে রাখুন
– অতিরিক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন না। রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। কপাল ও থুতনির মতো শুষ্ক জায়গায় ময়েশ্চারাইজার ভালো করে লাগান। গালে অল্প পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
– নিজের ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
– ময়েশ্চারাইজার তৈরি করে বেশিদিন রাখতে চাইলে বেস হিসেবে ভেজিটেবল অয়েল ব্যবহার করুন।
এস সি