এশিয়া

মালয়েশিয়ায় টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন এক মিলিয়ন নির্মাণ কর্মী

কুয়ালালামপুর, ০১ জুলাই – টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন মালয়েশিয়ার নির্মাণ খাতের এক মিলিয়ন কর্মী। সর্বশেষ রেকর্ডের ভিত্তিতে নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন বোর্ডে (সিআইডিবি) নিবন্ধিত প্রায় এক মিলিয়ন নির্মাণ কর্মী। যার মধ্যে ৭০% স্থানীয় এবং ৩০% বিদেশি রয়েছেন।

সিসিডিবির আওতাধীন নির্মাণ শিল্প ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের (সিআইভিএসি) মাধ্যমে এই সেক্টরে কর্মীদের জন্য টিকা প্রক্রিয়া সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করছে, এই খাতের ইনকুলেশন ত্বরান্বিত করার জন্য সরকার এবং বেসরকারী খাতের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা।

তবে নির্মাণ খাতের সকল কর্মীদের টিকা দিতে প্রায় দুই মিলিয়ন ডোজ প্রয়োজন। যাতে এ খাতের কর্মীরা টিকা নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়। বলছিলেন, শ্রমমন্ত্রী ফাদিল্লাহ ইউসুফ।

এ দিকে সিআইভিএসি প্রোগ্রাম কোভিড -১৯ টি ভ্যাকসিন সরবরাহের অ্যাক্সেস গ্যারান্টি বিশেষ কমিটির (জে কেজেএভি) মাধ্যমে কুয়ালালামপুর, পুত্রজায়া এবং সেলেঙ্গোরের ৪০,০০০ নির্মাণ কর্মীদের জন্য ৮০,০০০ ডোজ ভ্যাকসিন বরাদ্দ করা হয়েছে।

১ জুলাই বৃহস্পতিবার সিআইডিবি কনভেনশন সেন্টারে সিআইভিএসি প্রোগ্রামের টিকা প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় কোভিড -১৯ টিকাদান কর্মসূচির সমন্বয়মন্ত্রী খায়েরি জামালউদ্দিন।

ফাদিল্লাহ বলেছেন, সিআইডিবি ২১ জুন কুয়ালালামপুর, সেলেঙ্গর এবং পুত্রজায়া সকল নির্মাণ কর্মীদের জন্য ভ্যাকসিনের নিবন্ধকরণ চালু করেছে।

সিআইভাক কর্মসূচির ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া অনুসরণ করে ফাদিল্লাহ বলেন, পেনাং, জোহর ও পাহাংয়ের এক লক্ষ নির্মাণকর্মী কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে জেজেজেএভি থেকে আরও ২০০,০০০ ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য মন্ত্রণালয় অনুরোধ করবে।

তিনি আরও জানান, ১৪ জুলাই সেলাঙ্গরে সিআইভাক কর্মসূচির টিকা কেন্দ্র প্যানাসনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স, শাহ আলম এ খোলা হবে।

শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন,নিয়োগকর্তাদের সুবিধার্থে মন্ত্রণালয় সিআইডিবি-র সাথে মিলে কোভিড -১৯ টিকাদান বাহিনীকে (সিআইটিএফ) কাছে নির্মাণ সাইট বা শ্রমিকদের আবাসে টিকা দেওয়ার জন্য একটি প্রস্তাবও উপস্থাপন করবে।

সিআইভিএসি প্রোগ্রামের আওতায় বেসরকারী খাতকে তাদের নিজস্ব যোগ্য মেডিকেল টিম এবং টিকা কেন্দ্র প্রস্তুত এবং তহবিল সরবরাহ করা প্রয়োজন, যখন সরকার এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে সরবরাহ করে তাদের কাছে সরবরাহ করবে।

এদিকে খায়েরি বলেছেন, সিটিআইটিএফ পূর্বে অনুমোদিত নির্মাণ, পরিবহন ও উৎপাদন খাত ছাড়াও বৃক্ষরোপণ ও পণ্য খাতকে শিল্প টিকাদান কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত চতুর্থ খাত হিসাবে অনুমোদন দিয়েছে।

জাতীয় পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার পর্যায়ক্রমে পরিচালনার জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খুচরা ও পর্যটন ইত্যাদির প্রস্তাবগুলোও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিকা কর্মসূচির সমন্বয়মন্ত্রী খায়েরি জামালউদ্দিন।

সূত্র: যুগান্তর
এম ইউ/০১ জুলাই ২০২১

 

Back to top button