মোদি-রাজ্যেও কেলেঙ্কারি হয়েছে: মমতা
কলকাতা, ৩০ জুন – পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কসবার জাল টিকা প্রয়োগের ঘটনাকে একটি ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, বুধবার যে সময়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ওই মন্তব্য করছেন, তার কিছুক্ষণ আগেই পুরো ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
ওই চিঠিতে এমনও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। তার অব্যবহিত পরেই মমতা বিজেপি-কে পাল্টা আক্রমণ করেন। তিনি জানিয়ে দেন, জাল প্রতিষেধক ইস্যুতে তার (রাজ্য) সরকারের কোনও হাত নেই। বরং প্রতারণার ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে প্রতারকদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার যে ভাবে পদক্ষেপ করেছে, তা ‘দৃষ্টান্তমূলক’। তার কথায়, ‘অন্য কেউ হলে এ রকম পদক্ষেপ নিতে পারতেন না।’
জাল টিকাকরণ নিয়ে গত ২৬ জুন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। বুধবার কেন্দ্র জানিয়েছে, শুভেন্দুর চিঠি পেয়েই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পুরো ঘটনায় বিজেপি-র ‘ইন্ধন’ থাকতে পারে বলে গত সোমবারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা। বুধবারও তিনি বলেন, ‘বিজেপি এখানে চক্রান্ত করছে। বিভিন্ন এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে লোক সাজিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। টিকা কেলেঙ্কারি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতের প্রসঙ্গও টানেন মমতা। তার কথায়, ‘গুজরাতেও পার্টি অফিস থেকে টিকা বিলি করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। কই তখন তো কোনও মামলা হয়নি?’
কসবার ঘটনা নিয়ে যারা রাজ্যের সমালোচনা করেছেন, তাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া ভিডিও ছড়ানো হয়, তখন কোথায় থাকেন আপনারা? তখন তো কিছু বলতে শুনি না!’ জাল টিকা-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে রাজ্য প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, গোটা ঘটনার দায় পুরসভা এবং পুলিশ-প্রশাসন কোনও ভাবেই এড়াতে পারে না।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এম এউ, ৩০ জুন