১৯৮৮ সালের রাজ-বন্দি হত্যাকাণ্ড ও রাইসির ভূমিকা নিয়ে তদন্তের দাবি
তেহরান, ৩০ জুন- ইরানে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের তদন্তকারী ১৯৮৮ সালে কয়েক হাজার রাজনৈতিক বন্দিকে রাষ্ট্রীয় আদেশে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অভিযোগে একটি স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তৎকালীন তেহরানের ডেপুটি প্রসিকিউটর ও বর্তমানে ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করতে দাবি জানান।
গত সোমবার (২৮ জুন) এক সাক্ষাৎকারে ইরানে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের তদন্তকারী জাভেদ রেহমান বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে তার অফিস সাক্ষ্য এবং প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। যদি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল বা অন্য সংস্থা নিরপেক্ষ তদন্ত স্থাপন করে, তাহলে এগুলো তাদের সঙ্গে শেয়ার করা হবে।
অবিচ্ছিন্ন কভার আপের অংশ হিসেবে কিছু গণকবর ধ্বংস হচ্ছে, এমন সংবাদে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন বলে জানান।
বলেন, আমি মনে করি সময় হয়েছে এবং এটি এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে জনাব রাইসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে। ১৯৮৮ সালে কী ঘটেছিল এবং ব্যক্তিদের ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করার সময় এসেছে।
এই তদন্ত ইরানের স্বার্থে এবং পরিবারগুলোকে কাছে আনতে পারে উল্লেখ করে জাভেদ রেহমান বলেন, অন্যথায় এই প্রেসিডেন্ট (রাইসি) এবং তার ভূমিকা (১৯৮৮ সালের ঘটনার সময়) সম্পর্কে আমাদের গুরুতর উদ্বেগ থাকবে।
কট্টরপন্থী বিচারক ইব্রাহিম রাইসি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার অধীনে আছেন। মার্কিন এবং মানবাধিবার কর্মীদের বক্তব্য হলো, তিনি ১৯৮৮ সালের হত্যাকাণ্ডের তদারকিকারী চার বিচারকের একজন হিসেবে জড়িত ছিলেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্যমতে, সে সময় প্রায় ৫ হাজার জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল। সঠিক সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক
এস সি/৩০ জুন