নোয়াখালী

ব্যাটারী চালিত রিক্সা-ভ্যান বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

নোয়াখালী, ২৭ জুন- ব্যাটারী চালিত রিক্সা-ভ্যান বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবীতে কুমিল্লার লাকসাম পৌরশহরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অটোরিক্সা, ইজিবাইক, ভ্যান ও মিশুক শ্রমিকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে লাকসাম পৌরশহরের লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম সড়ক বাইপাস চত্ত¡রে ঘন্টাব্যাপী রিক্সা শ্রমিকদের এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহবায়ক ইমরান হোসেন ইমনের নেতৃত্বে বক্তারা উক্ত সমাবে–––শে শ্রমিকরা আধুনিকায়ন, পরিবেশ বান্ধব ও সঠিক নীতিমালা প্রনয়ন করে ব্যাটারী চালিত সকল পরিবহনের পৌর লাইসেন্স প্রদানের দাবী জানান। অন্যথায় আগামী ২/১ দিনের মধ্যে সমাবেশ ডেকে হরতাল-অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে। আপনারা সবাই প্রস্তুত থাকবেন।

সূত্রগুলো আরো জানায়, অটোরিক্সা ভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা গণসংহতি আন্দোলনে উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশে পৌরশহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউপি থেকে আগত রিক্সা চালকরা ওইদিন সকাল ৯টা থেকে ব্যানার, ফেষ্টুন ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে বাইপাস এলাকায় জড়ো হয়ে প্রায় ঘন্টা ধরে ওই সড়কে বিক্ষোভ করতে থাকে। সেখানেই শুরু হয় বিক্ষোভ সমাবেশ। অবশেষে অটোরিক্সা শ্রমিকরা এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে লাকসাম রেলওয়ে জংশন বাজার হয়ে পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ওই স্থানে গিয়ে উক্ত সমাবেশ শেষ করেন।

জেলা গণসংহতি আন্দোলনের আহবায়ক ইমরান হোসেন ইমন ও লাকসাম অটো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা আবুল কালাম, মোশারেফ, তৌহিদ ও জাফরসহ অপরাপর নেতারা জানায়, জেলা দক্ষিনাঞ্চলের ৫টি উপজেলার মোহনা এবং বানিজ্যিক নগরীখ্যাত এ লাকসাম। এ অঞ্চলে চলমান মহামারী করোনার কারনে এমনিতেই বেকারের সংখ্যা বাড়ছে, বিভিন্ন ট্রেডের শ্রমিকরা কাজ হারাচ্ছে। সেখানে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছে। সরকারের হঠাৎ এমন আত্মঘাতি ঘোষনার ফলে এ অঞ্চলে কয়েক হাজার রিক্সা শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বেন। ধার-দেনা কিংবা এনজিও কিস্তি নিয়ে এ রিক্সা ক্রয় করে আমরা চালাচ্ছি। এ অবস্থায় ব্যাটারী চালিত রিক্সা-ভ্যান চালানো বন্ধ করে দিয়ে আমাদের না খেয়ে মারার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকার এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করবো।

পৌর কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র জানায়, সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানালয় এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এতে আমাদের কিছুই করা নাই। তবে পৌরশহরে পায়ে চালানো অটোরিক্সা চালাতে পৌরলাইসেন্স ফি মওকুফ, নানাহ সুবিধাসহ বিশেষ পুরস্কারের কথা ঘোষনা করেছেন। এমনকি রবিবার সকাল থেকে পৌরপরিষদের সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক পায়ে চালিত রিক্সা চালককে পৌর কর্তৃপক্ষের ঘোষিত প্রতিশ্রæতি প্রদান করা হয়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিক নেতাদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।

তথ্যসূত্র: নতুন সময়
এস সি/২৭ জুন

Back to top button