সিনহা হত্যা মামলায় চার্জ গঠন, জামিন মেলেনি ৬ আসামির
কক্সবাজার, ২৭ জুন – কক্সবাজারের টেকনাফে সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা হত্যা মামলার চার্জ গঠন করেছেন আদালত। আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই সাক্ষী গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সাবেক ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল সাগর দেবসহ ছয় আসামির জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
রবিবার (২৭ জুন) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন। এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা শুনানি চলে। এতে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আদালত থেকে বেরিয়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলার চার্জ গঠনের দিন ছিল। আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলার চার্জ গঠন করে আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই সাক্ষী গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। পাশাপাশি সাবেক ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল সাগর দেবসহ ছয় আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আদালতের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে আসামিদের স্বজনরা উপস্থিত ছিল। শুনানি ও আদেশের পর আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলাটির তদন্তের জন্য র্যাবকে আদেশ দেন।
এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় অভিযোগে পুলিশের দায়ের মামলার তিন জন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। এছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেফতার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও। মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামিদের র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় র্যাব।
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
এন এইচ, ২৭ জুন