১১তম গ্রেড চান প্রাথমিক শিক্ষকরা
ঢাকা, ২৭ জুন – প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন অবিলম্বে ১১তম গ্রেডে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমাজ নামের একটি সংগঠন।
শনিবার বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমাজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১৩টি দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমাজ- এর সভাপতি শাহিনুর আল আমীন বলেন, এগুলো আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। আশা করি সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সহসাই এ দাবিগুলো পূরণ করবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের দেয়া ১৩তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের জন্য যে পরিপত্র জারি হয়েছে সেই অনুযায়ীও তা কার্যকর হয়নি, যা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা চাই ১১তম গ্রেডে বেতন, না হলে আমাদের পক্ষে জীবন-জীবিকা চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।
এ সময় শিক্ষকদের পক্ষে তিনি ১৩ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো-
১. সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করতে হবে।
২. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি দ্রুত বাস্তবায়নসহ পরিচালক পর্যন্ত যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি।
৩. প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কিত বিভাগীয় নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৪. জাতীয় আয়ের ৬% অথবা ভোট বাজেটের ২০% অর্থ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দিতে হবে।
৫. প্রতি তিন বছর পর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা দিতে হবে ( ২০১৮ সালে শ্রান্তি -বিনোদন ভাতাপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ ২০২১ সালে তিন বছর পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন জটিলতার কারনে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাননি)।
৬. উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি/ প্রথম যোগদানের তারিখ ধরে জাতীয় পর্যায়ে গ্রেডেশন করতে হবে।
৭. ১৩তম গ্রেড বাস্তবায়নে জটিলতা নিরসণ।
৮. নন ভোকেশনাল ঘোষণা করে সরকারের জন্য ডিপার্টমেন্টের নানা সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে।
৮ ডি পি এড প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণভাতা দ্রুত ছাড় দিতে হবে। যেহেতু এটা একটা দেড় বছরের প্রশিক্ষণ কোর্স, তাই প্রশিক্ষণোত্তর স্কেল ফিরিয়ে দিতে হবে এবং প্রশিক্ষণ শেষে উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করতে হবে।
৯. চাকুরী ২ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা।
১০. নামমাত্র টিফিনভাতা মাসিক ২০০টাকার স্থলে দৈনিক ন্যূনতম ১০০ টাকা হারে উন্নীত করতে হবে।
১১. শিক্ষকদের যাতায়াত ভাতা দিতে হবে।
১২. ইএফটিতে বেতন হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষকরা সরকার ঘোষিত গৃহনিমার্ণ ঋণ পাচ্ছে না। শিক্ষকদের শর্তহীন ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। ১৩. বিদ্যালয়ে স্লিপ ফান্ড ও সরকারি অন্যান্য বরাদ্দের অর্থ প্রধান শিক্ষক ও এসএমসির সভাপতির যৌথ একাউন্টে না দিয়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক প্রতিনিধির যৌথ একাউন্টে দিতে হবে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/২৭ জুন ২০২১