শিক্ষা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্যের বিরুদ্ধে পদায়ন আটকে রাখার অভিযোগ

রাজশাহী, ২৬ জুন – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ‘বিতর্কিত’ নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের পদায়ন অবৈধভাবে আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩-এর অধ্যাদেশ অমান্য করারও অভিযোগ আনা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চাকরিপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, গত ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ৭৩-এর অধ্যাদেশ ১২(৫) অনুযায়ী তার ওপর অর্পিত ক্ষমতা বলে শুন্য পদের বিপরীতে ১৩৮ জনকে নিয়োগ দেন। পরের দিন আমরা যোগদান করি। কিন্তু অধ্যাপক আব্দুস সোবহান এর মেয়াদ শেষ হলে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা আমাদেরকে কর্মস্থলে যোগদান থেকে বিরত রেখেছেন। ৭৩’ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী রুটিন উপাচার্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না।

এ সময় নিয়োগপ্রাপ্তরা আরও অভিযোগ করেন, তাদের নিয়োগকে বাতিল করতে বর্তমান প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে বিভিন্ন ভুল ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করছে। এ ছাড়াও রুটিন উপাচার্য গণমাধ্যমের সামনে তাদের নামে মিথ্যাচার করছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও রাবি শাখার সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সুমন, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারদিন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ, মাসুদ রানা, দেলোয়ার হোসেন ডিলস, বর্তমান সহ-সভাপতি মাহফুজ আল আমিন, তৌহিদ মোরশেদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাবি শাখার সাবেক আহ্বায়ক মতিউর রহমান মর্তুজা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৬মে শেষ কর্মদিবসে সাবেক উপাচার্য ১৩৮জনকে অ্যাডহকে নিয়োগ দিয়ে যান। ওইদিনই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে, কমিটি তদন্ত শেষে এই নিয়োগকে অবৈধ উল্লেখ করে প্রতিবেদন ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে। ৮ মে বর্তমান প্রশাসন নিয়োগপ্রাপ্তদের পদায়ন স্থগিত করে। এর পর থেকে তারা পদায়নের দাবিতে নিয়মিত নানা কর্মসূচি পালন করছেন। গত ২০ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসগুলো সীমিত পরিসরে চালু হওয়ার কথা থাকলেও ছাত্রলীগ নেতাদের বাধার কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি।

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/২৬ জুন ২০২১

 

Back to top button