সুনামগঞ্জ

মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যা করতে পেশাদার খুনি ভাড়া করলেন বাবা

সুনামগঞ্জ, ২৫ জুন- মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাবা-মা। নেশার টাকার জন্য প্রায়ই ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করতেন। আর এ অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে ছেলেকে হত্যা করার জন্য পেশাদার খুনি ভাড়া করেন বাবা। শেষমেশ মাদকাসক্ত ছেলেকে বাঁচতে দিলেন না খুনিরা।

অভিযুক্ত বাবার নাম মোহাম্মদ আলী। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মাহারাম গ্রামে। নিহতের নাম জাহাঙ্গীর আলম।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন সুনামগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক খালেদ মিয়া।

পুলিশ জানায়, ২১ মে ২৮ বছরের যুবক জাহাঙ্গীর আলম খুন হন। এ ঘটনায় আহসান হাবিব, মো. সোলাইমান ও পাশের করইতলা গ্রামের তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলী। এরপর তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের সঙ্গে জড়িত নয় বলে সন্দেহ হয় পুলিশের।

পরে সন্দেহজনকভাবে ৫৫ বছর বয়সী সুরুজ মিয়াকে আটক করে পুলিশ। তিনি এ খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।

সুরুজ জানান, জাহাঙ্গীর আলম নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি তার পরিবারের লোকজনকে অত্যাচার করতেন। ছেলের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে সুরুজ মিয়া ও সেকান্দার আলীকে ২০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন জাহাঙ্গীরের বাবা মোহাম্মদ আলী। সুরুজ এর আগে দুই খুনের মামলায় ১৭ বছর জেলে ছিলেন। সেকান্দার আলীও ডাকাতির মামলায় জেল খেটেছেন। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনার দিন ৫০০ টাকা দেওয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীরকে মাহারাম নদীর পাড়ে ডেকে নেন সুরুজ। এরপর তাকে দুজন মিলে খুন করে জাহাঙ্গীরের বাবা মোহাম্মদ আলীকে জানানো হয়। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার সুরুজ ও সেকান্দার।

তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, পেশাদার অপরাধী দিয়ে ছেলেকে খুন করিয়ে নিজের তিন প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী। তাদের সঙ্গে মোহাম্মদ আলীর জমি নিয়ে বিরোধ ছিল।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন এসপি মো. মিজানুর রহমান। তিনি জানান, ছেলেকে খুন করানোর দায়ে বাবা মোহাম্মদ আলী এবং অন্য দুই পেশাদার খুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: নতুন সময়
এস সি/২৫ জুন

Back to top button