কক্সবাজার

কক্সবাজারে খুলে দেয়া হলো পর্যটন হোটেল-মোটেল

সরওয়ার আজম মানিক

কক্সবাজার, ২৪ জুন – সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে ২৪ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে খুলেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রুম বুকিং দেওয়া যাবে না। তবে পুরোপুরি বন্ধ থাকবে সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

কক্সবাজার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজ গুলো খুলে দেয়ার কথা জানান। এরই প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে হোটেল-মোটেলগুলো খুলে দেওয়া হলো। তবে সেটি কোনোভাবেই পর্যটকদের জন্য নয়।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ড মামুনুর রশীদ জানান, পর্যটন সংশ্লিষ্ট মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের দাবির প্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস খুলে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে গঠন করা হয়েছে একটি মনিটরিং কমিটি। এই কমিটি হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা বেধে দিয়েছে। দিকনির্দেশনা সমূহ বাস্তবায়নে কোন ব্যত্যয় ঘটলে মনিটরিং কমিটি আবারও বন্ধ করে দেবে হোটেল-মোটেল।

তিনি আরও জানান, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সব বিচার বিশ্লেষণ করে সীমিত পরিসরে আজ বৃহস্পতিবার থেকে খুলে দেওয়া হলো হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস। খোলার পর স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে পুলিশ-প্রশাসনের চেয়ে হোটেল- মোটেল কর্তৃপক্ষের চ্যালেঞ্জ বেশি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু সুফিয়ান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে গৃহীত শর্তগুলো হলো- বেড়ানোর উদ্দেশ্যে কোন পর্যটক রুম বুকিং নিতে পারবে না। মাত্র ৫০% কক্ষ বুকিং দেওয়া যাবে। রুম সার্ভিস ব্যতিত বন্ধ থাকবে রেস্টুরেন্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। বন্ধ থাকবে সুইমিংপুল। হোটেলের ভেতর রেস্টুরেন্টগুলোতে বসে খাবার খাওয়া যাবে না, হোটেলের ভেতর কোন সভা সেমিনার মিটিং করা যাবে না। হোটেলের প্রবেশমুখে জীবানু নাশক স্প্রে ও তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে। লবিসহ সকল কক্ষে হ্যান্ড সেনিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া পুরো হোটেলে শতভাগ স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে হবে। শর্ত ভাঙলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলে এবছরের ১ এপ্রিল কক্সবাজারের সকল পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি পর্যটন এলাকার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজ গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

সূত্র : চ্যালেন আই
এন এইচ, ২৪ জুন

Back to top button