ক্রিকেট

প্রাইম দোলেশ্বরকে হারিয়ে সবার ওপরে আবাহনী

ঢাকা, ২৪ জুন – প্রথম সেশনে দুই পেসার সাইফউদ্দিন আর তানজিম হাসান সাকিবের মাপা বোলিংয়ে ১৩৫ রানেই থেমে যায় প্রাইম দোলেশ্বর। তাই আবাহনীর এমনিতে লক্ষ্য ছিল ১৩৬ রান।

কিন্তু বৃষ্টির কারণে ডিএল মেথডে আবাহনীর টার্গেট ছোট হলো। ওভারও কমলো। ১৩ ওভারে আকাশী হলুদদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯১ রান। এর মধ্যে বৃষ্টি আসার আগে ৫ ওভারে ৩৬ তোলাই ছিল।

তার মানে বৃষ্টির পর মাঠ তৈরি করে ৯টা ৪৮ মিনিটে আবার যখন খেলা শুরু হলো তখন আবাহনীর জিততে ৮ ওভারে করতে হতো ৫৫ রান। আবাহনী ম্যাচ জেতে ৭ উইকেটে (ডিএল মেথডে)।

অধিনায়ক ও ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিকুর রহীম হাতের আঙ্গুল ফ্র্যাকশ্চারের কারণে নেই। ওপেনার লিটন দাস আর ইনফর্ম মুনিম শাহরিয়ার প্রথম উইকেটে ৮.৪ ওভারে ৬৬ রান তুলে আবাহনীকে জয়ের বেশ কাছাকাছি পৌঁছে দেন।

দোলেশ্বর পেসার রেজাউর রহমানের বলে স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দেয়ার আগে লিটন খেলে যান ২৭ রানের (২৫ বলে, চার বাউন্ডারিতে) আত্মবিশ্বাসী ইনিংস।

আরেক ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার আউট হন ৪৪ রানে (৩৪ বলে) অফস্পিনার সাইফউল্লাহর হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে। তার আউটের পর কমে যায় আবাহনীর রান তোলার গতি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডাউনে নেমে এ বাঁ-হাতি পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে শূন্য রানে ফিরলে একটু চাপে পড়ে আবাহনী।

এ ম্যাচের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৯) আর আফিফ হোসেন ধ্রুব (৩ বলে ৩) ঠিক দল জিতিয়ে ফেরেন। তারা যখন ম্যাচ জিতিয়ে সাজঘরের পথে তখনো ম্যাচের ৭ বল বাকি।

প্রথম লেগ ও সুপার লিগ মিলে ১৪ ম্যাচে ধানমন্ডির দলটির এটা ১১ নম্বর জয়। প্রাইম ব্যাংকের সাথে আবাহনীর পয়েন্ট এ পর্ব শেষেও সমান ২২ করে। তবে নেটরান রেটে আকাশী হলুদরা চলে গেল এক নম্বরে।

সূত্র : জাগো নিউজ
এম এউ, ২৪ জুন

Back to top button