পটুয়াখালী

পটুয়াখালীতে ইউএনওকে প্রত্যাহারের দাবি আ.লীগ প্রার্থীর

পটুয়াখালী, ২০ জুন- পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ সাদীদকে প্রত্যাহার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুরাদিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. মিজানুর রহমান শিকদার। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুমকির প্রেস ক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে ইউএনওর বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এনে অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের বোর্ড অফিস বাজারে তার পূর্বনির্ধারিত শান্তিপূর্ণ গণসংযোগ ও পথসভা চলাকালে ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ অনাকাক্সিক্ষতভাবে তাতে বাধা দেন। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া প্রায় দুই শতাধিক কর্মী-সমর্থক ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে অবরুদ্ধ করে প্রচারণা বাধাগ্রস্ত এবং বিনা কারণে নৌকা মার্কার প্রচারণায় থাকা উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির মৃধাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ভ্যানে ওঠান। তিনি (ইউএনও) শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় বাধা ও গ্রেপ্তার করায় তার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থীর দুই ট্রাকভর্তি (১১ হাজার) আনারস নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের মাঝে বিতরণ করা হয়। সে ক্ষেত্রে ইউএনও ও দুমকি থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আনারস দেখার পরও কোনো ব্যবস্থা নেননি। প্রশাসনের এমন আচরণে ভোটারদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় এমন পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ সাদীদকে প্রত্যাহার দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইউনুচ আলী মৃধা, কৃষক লীগের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির মৃধা, শ্রমিক লীগের সভাপতি খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রনি, ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবন, সাধারণ সম্পাদক সবুজ সিকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেনসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ সাদীদ বলেন, গণসংযোগের নামে গণমিছিল করায় বাধা দেওয়া হয়েছে, পথসভায় বিঘœ হয়নি। আনারস প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি, দোকান বা গুদামজাত মালামালের জন্য কোনো প্রার্থীকে দায়ী করা যায় না।

তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর
এস সি/২০ জুন

Back to top button