সংগীত

স্বেচ্ছাসেবক লীগে সাংস্কৃতিক সম্পাদক হলেন হাসান মতিউর রহমান

 

ঢাকা, ১৯ অক্টোবর- দেশ বরেণ্য গীতিকার ও সুরকার হাসান মতিউর রহমান। ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই’- গানটি তার কালজয়ী এক সৃষ্টি। এছাড়াও তিনি বহু গান উপহার দিয়েছেন অডিও এবং ঢাকাই চলচ্চিত্রে।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি আওয়ামিলীগের রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত। সেই ধারাবাহিকতায় এবার হাসান মতিউর রহমান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

এ গীতিকবি ও সুরকার আজ ১৯ অক্টোবর রাতে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সারা জীবন দল করেছি নিঃস্বার্থভাবে, তার মূল্যায়ন পেলাম। সেই শিক্ষাজীবন থেকে ছাত্রলীগ করেছি। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে আসতে হয়েছে। তাই আজকের এই মূল্যায়নে খুব ভালো লাগছে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা আমার উপর ভরসা রাখার জন্য। যারা আমার নাম এ পদে প্রস্তাব করেছেন, যারা আমাকে নির্বাচিত করতে সমর্থন দিয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই আমি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি তৈরি হলো। আজই জানলাম আমি সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদের দায়িত্ব পেয়েছি। আশা করছি নেত্রীর সঙ্গে দ্রুতই দেখা হবে। তার নির্দেশনা পাবো। সবসময় দলের জন্য নিবেদিত থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি নতুন দায়িত্ব পালনেও সফল হবো। সবার ভালোবাসা চাই।’

হাসান মতিউর রহমান স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন ভক্ত-অনুরাগীরা৷ গীতিকবি সংঘ থেকেও তাদের নন্দিত সদস্যকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৮ ডিসেম্বর ১৯৫৮ সালে দোহারের নয়াবাড়ি ইউনিয়নের পূর্বধােয়াইর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হাসান মতিউর রহমান। ১৯৭৭-৭৮ সালের দিকে সংগীতের তালিম নেন প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার কুটি মনসুরের কাছে।

তুমুল জনপ্রিয় ‘আমি বন্দী কারাগারে’ এলবামের সুরকার ও প্রযােজক তিনি। হাসান মতিউর রহমান দেশে বিদেশে ৩৫০টির বেশি পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৮০ সালে তিনি ‘চেনাসুর’ নামে একটি সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্টা করেন। এখান থেকেই প্রথম এলবাম প্রকাশ করে শিল্পী হিসেবে যাত্রা করেন ‘পাগল মন’খ্যাত গায়িকা দিলরুবা খান।

আরও পড়ুন: মাঝ দরিয়ায় ভালোবাসার রঙ ছড়ালেন আনুশকা-কোহলি

মুজিব পরদেশী, আশরাফ উদাস, মনির খানের মতাে অনেক সংগীত তারকাদের কণ্ঠে জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজের সংগীত জীবনের জনপ্রিয়তার নেপথ্যের কারিগর হিসেবেও তাকে ধরা হয়। তার লেখা গানে বাজিমাত করেছেন রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়ামিন, এন্ড্রু কিশােররাও।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের সংগীত জগতে অসামান্য ভুমিকা রাখা হাসান মতিউর রহমান।

সূত্রঃ জাগো নিউজ
আডি/ ১৯ অক্টোবর

Back to top button